শেয়ার বিজ ডেস্ক: সৌদি আরবের পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা সৌদিয়ায় (সাবেক সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস) চলতি বছরের প্রথমার্ধে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫২ শতাংশ ফ্লাইট বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংস্থাটি ৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন বা ৭৪ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের বৈশ্বিক যোগাযোগের কেন্দ্রে পরিণত করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে সৌদি আরব। খবর: আরব নিউজ।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ৩৭ হাজার ৬০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদিয়া, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩০ শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, চারটি মহাদেশে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করার পর ফ্লাইট ও যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে।
অর্থাৎ আলোচ্য সময়ের মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার ৭০০ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদিয়া। এর আগের সময়ের তুলনায় রেকর্ড ৪০ শতাংশ বেড়েছে তাদের কার্যক্রম। ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সৌদিয়া।
নিজেদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক যাত্রীসংখ্যা তিনগুণ করতে চায় সৌদিয়া। এ হিসাবে ৩৩০ মিলিয়ন বা ৩৩ কোটি যাত্রী বহন করতে চায় সংস্থাটি। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৯টি বিমানবন্দর থেকে ২৫০টি গন্তব্যে সেবা বিস্তৃত করতে আগ্রহী সংস্থাটি।
সৌদিয়া তাদের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে, গত ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ রুটে ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ৬৩ লাখ যাত্রী বহন করেছে। এ সময়ে ৪৭ হাজার ৭০০টি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ৮০ হাজার ৮০০ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদিয়া।
সবমিলিয়ে সৌদি আরবের জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন বা এক কোটি ৩৭ লাখ যাত্রী বহন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
এ সময়ের মধ্যে তিনটি নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্য যুক্ত করেছে সৌদিয়া। সেগুলো হচ্ছেÑতানজানিয়ার দার এস সালাম, লন্ডনের গ্যাটউয়িক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ফ্রান্সের নিস বিমানবন্দর।
বছরের এ সময়ে নিজেদের বহরে এ৩২১নিও এয়ারবাস যুক্ত করেছে সৌদিয়া। এর মধ্য দিয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে যে নতুন ২০টি উড়োজাহাজ যুক্ত করা হবে, তার প্রতিফলন দেখাল সংস্থাটি। বর্তমানে তাদের ১৪০টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি বোয়িং ৭৭৭৩০০ইআর, ১৩টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ৪১টি এয়ারবাস ৩২০ এবং ৩২টি এয়ারবাস ৩৩০-সহ অন্যান্য উড়োজাহাজ রয়েছে।
সৌদিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের অডিটে দেখা গেছে, পরিচালনাগত নিরাপত্তার দিক থেকে দশম অবস্থানে রয়েছে সৌদিয়া। স্কাইট্রাক্সের সূচকে তাদের অবস্থান ২৩তম, গত ছয় মাসে তারা ১১ ধাপ এগিয়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাস্টার-২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির উড্ডয়ন খাতে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে সৌদিয়া। তাদের প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বার্ষিক ভিত্তিতে ফ্লাইটের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮৯৮ থেকে বেড়ে ৩৪ হাজার ৩২৬টি হয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে যাত্রী বেড়েছে ১৭ শতাংশ (৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন)।
এ হিসাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দিনে গড়ে ৩৭৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদিয়া। দিনে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৭৫৯ জন। ২০২২ সালের এ সময়ে ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল গড়ে ৩৪০টি এবং যাত্রীসংখ্যা ছিল ৩৪ হাাজর ৭৮৯ জন। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৭ ও ১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে নতুন রুটও যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাজান-কায়রো, আল জোয়ুফ-তিবলিসি, জাজান-দুবাই, আল কাসিম-ইস্তান্বুল, আল কাসিম-ট্রাবজন এবং আল কাসিম-তিবলিসি।