Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:45 pm

সৌম্য ঝড়ের পরও টানা হার বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক: বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে দরকার ১৭০। টি-টোয়েন্টিতে পরে ব্যাট করে এ লক্ষ্যের পেছনে ছোটা বেশ কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। সেটাই মঙ্গলবার ব্যাট হাতে ঝড়ো তুলে খনিকের জন্য দেখিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু এ তারকা ফেরার পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলে গেল বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি টাইগাররা। যে কারণে চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজে আগেই মতোই হারল সফরকারীরা। একই সঙ্গে এক ম্যাচ আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজও হাত ছাড়া হল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।

নেপিয়ারে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হারে ২৮ রানে। এরআগে টস জিতে আগে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা। সে সুবাদে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে দুই দফায় বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ থাকে। এরমধ্যে ১৭.৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড রান তোলে ৫ উইকেটে ১৭৩। তবে সময়ের অভাবে তাদের আর ব্যাট করা হয়নি। তাই টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৭০। কিন্তু সফরকারীরা নির্ধারিত ওভার শেষে করতে পারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান। ২৭ বলে ৫১ রান করেন সৌম্য। ৩৫ বলে ৩৮ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে।

১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকারের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। সৌম্য নাঈমকে নিয়ে ৫২ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে দারুণ কিছুর ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন।

৫২ টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পান সৌম্য। দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডের সম্ভাবনা জাগান তিনি। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৫০ আছে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলের। সৌম্যর রান ছিল ১৫ বলে ৪০। এরপর কিছুটা স্লো হয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সৌম্য ২৭ বলে ৫১ রান করে ফিরেন টিম সাউদির বলে মিলনের ক্যাচ হয়ে। তার বিদায়ের পরই হুডমুড় ভেঙে পড়ে টাইগারদের ইনিংস।

নাঈম ৩৫ বলে করেন ৩৮। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ২১ রান করে লড়াইটা কিছুটা জারি রাখেন। কিন্তু একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত হারই সঙ্গী দলের। বাংলাদেশ ১৬ ওভারে তুলতে পারে ১৪২ রান।

এরআগে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচ বৃষ্টি থামিয়ে দেওয়ার আগে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ওভার কমে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ড আর ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে সিরিজ হার আটকাতে ১৬ ওভারে ১৪৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু ভুল শুধরে লক্ষ্য বদলানো হয়। তখন জানা যায় বাংলাদেশকে জিতলে হলে করতে হবে ৯৬ বলে ১৭০ রান।

মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের রানের গতি বাড়ান ফিলিপস ও মিচেল। একজন করেন অপরাজিত ৫৮। অন্যজন অপরাজিত ৩৪ রান। যে কারণে শেষদিকে দ্রুত রান তুলে বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত সেই রানই কাল হয় টাইগারদের। এর সঙ্গে এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজও হাতছাড়া হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।

ব্যাট-বল হাতে দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফিলিপস। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার। এ ম্যাচ হারলেই ওয়ানডের মতো আরেকটি হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়বে টিম টাইগার্স। নিশ্চয়ই তেমন কিছু চান না সফরকারীরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

নিউজিল্যান্ড: ১৭.৫ ওভারে ১৭৩/৫ (গাপটিল ২১, অ্যালেন ১৭, কনওয়ে ১৫, ইয়াং ১৪, ফিলিপস ৫৮, চাপম্যান ৭, মিচেল ৩৪; নাসুম ৪-০-২৫-০, সাইফ ৩-০-৩৫-১, তাসকিন ৩.৫-০-৪৯-১, শরিফুল ৩-০-১৬-১, মেহেদি ৪-০-৪৫-২)।
বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৭০) ১৭ ওভারে ১৪২/৭ (নাঈম ৩৮, লিটন ৬, সৌম্য ৫১, মাহমুদউল্লাহ ২১, আফিফ ২, মিঠুন ১, মেহেদি ১২, সাইফ ৩, তাসকিন ০; সাউদি ৪-০-২১-২, বেনেট ৪-০-৩১-২, মিল্ন ৩-০-৩৪-২, সোধি ৩-০-৩৪-০, ফিলিপস ৩-০-২০-১)।
ফল: বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ড ২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ফিলিপস।