ক্রীড়া ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান নেই। তাই এসএ গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টে অনেকেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হাতেই দেখেছিল স্বর্ণ। শুধু তা-ই নয়, এমন স্বপ্নই বুনেছিলেন সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেন শান্তরা। গতকাল ব্যাট-বলে ঝড় তুলে শ্রীলঙ্কাকে সহজে হারিয়ে সে স্বপ্নপূরণ করেছেন তারা।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গতকাল শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশ। এর আগে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে ১২২ রানে বেঁধে রাখেন বোলাররা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ১১ বল হাতে রেখে এ সহজ জয় পায় লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
স্বর্ণের লড়াইয়ে গতকাল অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনার সাইফ হাসান করেন ৩৩ রান।
এর আগে টস জিতে বল হাতে শুরুটা ভালোয় হয়েছিল বাংলাদেশের। সে পথ ধরে পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক নিশান মাদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন সুমন খান। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি দুই পেসারের সুবাদে ৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দল। এরপর দশম ওভারে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয় রান আউটে। ২৪ বলে ২২ রান করে ফিরেন তিনি। একমাত্র শাম্মু আহসানই করেন বলের চেয়ে বেশি রান (২০ বলে ২৫)। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়া লঙ্কানরা শেষ ৬ ওভারে তুলে ৩৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসানের। সুমন খান মাত্র ১৬ রানে ১ উইকেট নেন। সৌম্য সরকার ৩২ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শূন্য।
রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৫ ওভারে তারা তোলেন ৪৪ রান। ২৮ বলে চারটি চারে ২৭ রান করা সৌম্যকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্দু মেন্ডিস। এরপর সাইফের সঙ্গে নাজমুলের ২২ বলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৩৯ রান। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও এই জুটিতে সাইফ ছিলেন আগ্রাসী। সাচিন্দু কলম্বাগের টানা দুই বলে দুটি ছক্কা মারেন তিনি। রান আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে তিনটি চার ও দুই ছক্কায় সাইফ করেন ৩৩ রান। পরে ১৬ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৯ রান করে ফেরেন ইয়াসির আলী। সে সময় বাংলাদেশ জয় থেকে দূরে ছিল ১৫ রান। আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক শান্ত। শেষ পর্যন্ত এ বাঁহাতি ২৮ বলে দুটি চার ও একটি ছয়ে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩: ২০ ওভারে ১২২/৯ (নিসানকা ২২, মাদুশকা ১৬, ক্রুসপুল ১, মেন্ডিস ৪, আসালাঙ্কা ১২, আশান ২৫, বান্দারা ২, ড্যানিয়েল ৮, কাভিশকা ৫*, সাচিন্দু ৯, আসিথা ০; সুমন ৪-০-১৬-১, তানভির ৪-০-২৮-২, হাসান ৪-০-২০-৩, মেহেদি ৪-০-১৮-১, সৌম্য ৪-০-৩২-০)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩: ১৮.১ ওভারে ১২৫/৩ (সাইফ ৩৩, সৌম্য ২৭, শান্ত ৩৫*, ইয়াসির ১৯, আফিফ ৫*; আসিথা ৪-০-২১-০, কাভিশকা ২-০-৯-০, ড্যানিয়েল ২-০-১৩-০, আশান ২.১-০-১৯-০, মেন্ডিস ২-০-৯-১, সাচিন্দু ৪-০-৩৩-১, আসালাঙ্কা ২-০-১৮-০)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হাসান মাহমুদ।