ফারুক আলম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নে তিস্তার পারে শৈলমারীর চরে ইন্ট্রাকো সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে পাল্টে গেছে চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান।
জানা যায়, ২০২০ সালে ইন্ট্রাকো গ্রুপ এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে এবং কাজ শেষ হয় ২০২২ সালে। পরে গত বছরের আগস্টের ২৮ তারিখে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তার পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে যায় ইন্ট্রাকো সোলার।
এর আগে রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলায় প্লান্ট স্থাপনের কাজে হাত দেয় ইন্ট্রাকো। সেবার বন্যা ও নদীভাঙনে সেই চরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর কালীগঞ্জের শৌলমারির চরকে তারা বেছে নেয়। সরকারের ৫২ দশমিক ০২ একর ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কিনে নেয়া ৬৩ একর জমির ওপর প্লান্ট স্থাপন করে কাজ শুরু করা হয়।
ইন্ট্রাকোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার আকমল হোসেন জানান, এ প্লান্টে ৮৭ হাজার প্যানেল বসানো আছে। ৯টি ব্লকের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ দিনের বেলা নেসকোর লাইনে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রিডে চলে যাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা বেশি বিদ্যুৎ দিতে পারছি। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আমরা ২০ বছর বিদ্যুৎ দেব। তবে আমাদের ডিজাইন করা আছে ২৫ বছরের।
এদিকে নেসকো বলছে, কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিদিন পিকআওয়ারে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। বাকি বিদ্যুৎ চলে যায় লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, আদিতমারী ও হাতিবান্ধা উপজেলায়।
লালমনিরহাট রেশকোর নির্বাহী প্রকৌশলী (অতি.দা.) প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ‘কালীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ মেগাওয়াট। বাকি বিদ্যুৎ অন্য উপজেলায় যায়। বলতে পারি ইন্ট্রাকোর বিদ্যুতে লালমনিরহাট এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ শৌলমারীর চরে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এবং ইন্ট্রাকোর প্রজেক্টের জন্য একটি ব্রিজ ও সড়ক তৈরির বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেছেন। এ সময় মন্ত্রী ইন্ট্রাকোকে ওই প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করতে বলেন।