নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্রুতগতিতে দুই হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা গেলে এবং সমস্ত ডিজেলচালিত পুরো সেচব্যবস্থাকে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা গেলে বাংলাদেশ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এলএনজি এবং ডিজেল আমদানির বোঝা থেকেও মুক্ত হতে পারত। ন্যাশনাল ব্যুরো অব এশিয়ান রিসার্চ (এনবিআর) নামক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থার এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, উপরোল্লিখিত দুটো পদক্ষেপ নিলে, বছরে ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন হ্রাস করা সম্ভব। গবেষণাপত্রের লেখক শফিকুল আলমের মতে, ‘বর্তমান জ্বালানি সংকট বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি এলএনজির মতো ব্যয়বহুল এবং অস্থির বাজারদরের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ও আমদানি হ্রাস করার সুযোগ।’
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রুফটপ সোলার সিস্টেম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে খরচ দাঁড়ায় প্রতি কিলোওয়াট পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা। সুতরাং শিল্পগুলো দিনের বেলায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ গ্রিড বিদ্যুতের খরচের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমাতে পারে। একইভাবে ইউটিলিটি-স্কেল সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় প্রতি কিলোওয়াট সাত টাকা ৬০ পয়সা, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে পিডিবির (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ কম।
গবেষণাটি থেকে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি জমির ওপর কোনো চাপ না ফেলে ১২ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করতে পারে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ছাদ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ব্যবহার করা হয় এবং ডিজেলচালিত সেচব্যবস্থাকে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়।