Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 12:48 pm

স্কুলছাত্র মেহেদী হত্যায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান (১৫) হত্যায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মেহেদী হত্যা মামলার আসামি শাহিনুর বেগম ও নান্নু মিয়াকে খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার।

বিচারক রায়ে বলেন, আট আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাদের প্রথম অপরাধ ও বয়স বিবেচনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হলো।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনÑফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। রায় ঘোষণার সময় এই আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে রোববার এ রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার রায়ের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার) রায় হলো।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদীকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান আসামি ওলি। মেহেদীর ভাগনে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মেহেদী অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে।

চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশারফ ওই বছরের ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। বিচার চলাকালে এ মামলায় আদালত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।