প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে দূর্বৃত্তের ছুড়িকাঘাতে মেহেদি (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও কোর্ট চত্বর এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও শোক র্যালির আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে তারা মেহেদি হত্যার বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এসময় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সাধারন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।
পরে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন ভুইঞা ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসন সজাগ থাকবে। মেহেদি হত্যার মূল রহস্য বের করতে ইতোমধ্যে প্রশাসন কাজ করছে।
এর আগে গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার বিসিক এলাকার শামিমের হোটেলের পাশে দূর্বৃত্তের ছুড়িকাঘাতে নিহত হয় মেহেদি। এ ঘটনায় আরমান(১৫) নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত মেহেদি ঠাকুরগাঁও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং ঠাকুরগাঁও রুহিয়া সেনেহারি গ্রামের আ. মালেকের ছেলে। মেহেদি শহরের পরিশোধ পাড়ায় মামা আমজাদ হোসেনের বাসায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শামিমের চা এর হোটেলের পাশে চিৎকার শুনতে পেয়ে বাজারের লোকজন এগিয়ে যায়। গিয়ে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদিকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত মেহেদির মামা আমজাদ হোসেন বলেন, স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে মেহেদি আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। সন্ধ্যায় কেউ একজন ডেকে নিয়ে যায় মেহেদিকে। কিছুক্ষণ পরে মোবাইলে একজন হামলার বিষয়টি জানায়।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ছাবরিনা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মেহেদির মৃত্যু হয়। আহত আরমানকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্য(ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।