স্কুলের বাইরে থাকলে ফেরার সম্ভাবনা কমে

মহামারির আঘাত এবং ক্রমবর্ধমান ভয় ও উৎকণ্ঠার মধ্যে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহযোগিতা করার জন্য ইউনিসেফের সহযোগীরা শিশু, নারী, মেয়ে ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে রক্ষা পাওয়া সবাইকে সুরক্ষা সেবা দিয়ে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে কেস ম্যানেজমেন্ট, পরামর্শ ও মনোসামাজিক সেবা।

যদিও এই মুহূর্তে বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন নারী ও মেয়েদের জন্য নিরাপদ স্থান, কিশোরীদের বহুমুখী কেন্দ্র ও শিশু কেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে, তবু একক কোনো পরামর্শ সভা অথবা কমিউনিটির সঙ্গে কভিড-১৯-সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের জন্য সেবাগুলো চালু রয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ক্রমবর্ধমান ও প্রলম্বিত শরণার্থী পরিস্থিতি এই মহামারির কারণে আরও জটিল হয়ে উঠছে। পাশাপাশি জটিল হয়েছে শিশুদের, বিশেষ করে মেয়ে ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ওপর সহিংসতাসহ পাচার ও অন্যান্য বিপদ থেকে রক্ষা করার মতো বিষয়গুলো।

কভিড-১৯ সংকট শুরুর আগেই ইউনিসেফ ও তার সহযোগীরা দুই হাজার ৫০০ শিক্ষা কেন্দ্রে নিবন্ধনের মাধ্যমে দুই লাখ ১৬ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর লেখাপড়ার সুযোগ নিশ্চিত করে।

সরকারের যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০ সালের প্রথমার্ধে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পাইলট ভিত্তিতে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম চালু করার পথে ছিল ইউনিসেফ। দুঃখজনকভাবে সেই উদ্যোগ এখন কভিডের কারণে স্থগিত রয়েছে। পাশাপাশি কভিড থেকে রক্ষায় পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানকার সব শিক্ষা কেন্দ্রও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পাইলট কার্যক্রমটি যখন চূড়ান্তভাবে শুরু হবে, তখন শুরুতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ১০ হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীকে এতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এই পাইলট প্রকল্পের অধীনে অল্প বয়সি শিশুদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক শিক্ষার্থী যাদের বর্তমানে শিক্ষার সুযোগ কম, তাদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কমিউনিটি পর্যায়ে কভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সরকার গত মার্চের মাঝামাঝি সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকেই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সব শিক্ষাকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থা আগামী কয়েক বছর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর। আগের জরুরি অবস্থার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, শিশুরা যত লম্বা সময় স্কুলের বাইরে থাকে, পরবর্তী সময়ে তাদের স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা ততই কমে যায়।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০