স্কুল না খুললে অটো পাসের চিন্তা করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: গেল মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারছে না কেউ। এরই মধ্যে আগামী নভেম্বর মাসেও যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা না যায় তাহলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ কীভাবে মূল্যায়িত হবে, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন গতকাল এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, এবার মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বরে যদি স্কুল খোলা যায়, তাহলে আলাদা দুটি পরিকল্পনা করা আছে। পরিকল্পনার ব্যাপারে সচিব বলেন, ‘যদি স্কুল খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। যদি খোলা না যায় তাহলে তো আপনারা বোঝেন।’

আর নভেম্বরেও যদি স্কুল খোলা না যায় তবে এবার বার্ষিক পরীক্ষা হবে না জানিয়ে গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘স্কুল খুলতে না পারলে আমরা কী মূল্যায়ন করব? পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন হবেই কী করে? স্কুল খুলতে না পারলে কোনো মূল্যায়ন হবে না।’

অটো পাসের ব্যাপারে বলতে গিয়ে সচিব একাত্তরের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সে বছর সবাইকেই অটো পাস দিয়ে প্রমোশন দেওয়া হয়েছিল। এবারও কী অটো পাস দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, অটোপাসের খবর শুনে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে সরে না যায়, সে জন্য এখনই কোনো ঘোষণা তারা দিচ্ছেন না।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রমণের পর গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্ধের পর থেকে কয়েক দফায় সেই ছুটি বাড়ানোর কারণে এখনও খুলে দেওয়া যায়নি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার ফলে স্কুল, কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আর্থিক সংকটে পড়ে কোনো কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে, সে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ‘আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি সব ডিপিওকে (জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) যদি কেজি স্কুল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই স্কুলের শিক্ষার্থীরা যে ক্যাচমেন্ট এলাকার, সেই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে। কোনো স্টুডেন্ট বাদ যাবে না।’

এর আগে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে বছরের যে কোনো সময় ছাড়পত্র (টিসি) ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে এর আগে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০