ক্রীড়া ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের উইকেট হওয়ার কথা স্পিন সহায়ক। তারপরও বাংলাদেশের স্কোয়াডে পেসার ৫ জন! দল ঘোষণার পরদিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ব্যাখ্যা করলেন এর কারণ।
আসন্ন দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের ১৮ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে রয়েছে স্পেশালিস্ট পেসার ৫ জন, স্পেশালিস্ট স্পিনার ৪ জন। বাস্তবতা যা বলে, তাতে একাদশে থাকতে পারেন ৪ স্পিনারের সবাই। পেসার ২ জনের বেশি রাখা হবে না নিশ্চিতভাবেই।
স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়ার পরও কেন স্কোয়াডে ৫ পেসার। এর ব্যাখ্যা করছেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে স্পিনার, পেস বোলার সবাইকেই প্রস্তুত রাখতে হয়। কারণ আমরা যখন পুল তৈরি করি, তখন শুধু একটা টেস্ট ম্যাচ মাথায় রেখে করা হয় না। সামনের কথা ভেবে, বিদেশের মাটিতে খেলার বিষয় মাথায় রাখা হয়। দেশের মাটিতে স্পিনারই আমরা বেশি খেলাই। কম্বিনেশনটা যেন ঠিক থাকে, বোলারদের স্ট্যান্ডার্ড যেন ঠিক থাকে, সেভাবেই ভারসাম্য রাখা হয়।’
নান্নু আরও বলেন, ‘এখানে ৫ জন পেসার রাখা হয়েছে, কারণ অনেকদিন পর আমরা টেস্ট খেলছি, যেকোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে। পাঁচ দিনের টেস্ট শেষে আপনি বলতে পারেন না যে তাদের স্ট্যামিনা একই রকম থাকবে। সে হিসেবে তাদের ফিটনেস লেভেলের কথা চিন্তা করে আমরা এত জন পেসার রেখেছি। আশা করি, সবার ফিটনেস লেভেল ভালো অবস্থায় আছে এবং দুটো টেস্টেই তাদের ভালো অবস্থানে পাব।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৮ জনের দলও সাধারণও দেয় না বিসিবি। তবে এবার পরিস্থিতির দাবি মেটাতেই এত বড় স্কোয়াড, বললেন মিনহাজুল, ‘১৮ জনের স্কোয়াড দেওয়া হয়েছে মূলত কোভিড-১৯ মাথায় রেখে। কে কখন অসুস্থ হয়, এটা মাথায় রেখেই আমরা স্কোয়াডটা বড় করেছি। তারপরও যাদের নিয়েছি, টেস্ট ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখে যে পুল আমরা করেছি, বেশির ভাগকেই রাখা হয়েছে। যারা খেলবে না, তারা যেন একটা সিস্টেমে থাকে, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করে অভ্যস্ত হয়ে যেন আরও উন্নতি করতে পারে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এটা মাথায় রেখেই স্কোয়াডটা বড় করা হয়েছে।’
আগামী বুধবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যেকার সিরিজের প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। পরের টেস্ট হবে ঢাকায়।