শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার সংঘাত নিয়ে অনলাইন দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলের কোম্পানি স্টইকের পরিচালিত গোপন মিশনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওপেনএআই ও মেটা। খবর: রয়টার্স।
মহীরুহ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বলেছে, স্টইক নামের তেল আবিবভিত্তিক একটি রাজনৈতিক বিপণন ও ব্যবসায়িক গোয়েন্দা সংস্থা নিজেদের বিভিন্ন পণ্য ও টুল দিয়ে অনলাইনের রাজনৈতিক আলাপচারিতাকে প্রভাবিত করছে।
এক প্রতিবেদনে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই বলেছে, তারা স্টইকের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের একটি নেটওয়ার্কে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে হামাসবিরোধী ও ইসরায়েলপন্থি কনটেন্ট পোস্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা ইসরায়েলের ভাড়া করা সাইবার যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে।
অ্যাকাউন্টগুলো ওপেনএআইয়ের বিভিন্ন মডেল ব্যবহার করে গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এমনকি ভারতে চলমান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এমনটি করেছে, তবে এর মাত্রা তেমন বেশি ছিল না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, এআই মডেলের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন এমন নিবন্ধ ও মন্তব্য তৈরি করেছে, যেগুলো একাধিক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা হয়, যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স ও মিশনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাইটগুলো। এর মধ্যে রয়েছে গাজা যুদ্ধের মতো সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লেখা বার্তাও। এছাড়া মিশনটিতে মানুষের সম্পৃক্ত হওয়ার জাল তথ্যও ছিল বলে অভিযোগ করেছে ওপেনএআই। আমরা যেসব কর্মকাণ্ড ঠেকিয়েছি তার মধ্যে কয়েকটি আমাদের এআই মডেল ব্যবহার করেছে। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য ছড়িয়েছে।
তবে ওপেনএআইয়ের তথ্য অনুসারে, নেটওয়ার্কটির কার্যক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেমন সাড়া মেলেনি। শুধু নিজেদের তৈরি করা জাল অ্যাকাউন্ট দিয়েই সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে নেটওয়ার্কটি।
স্টইক নিজেদের এমন একটি এআই কনটেন্ট তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে লক্ষ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি সেগুলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক প্ল্যাটফর্মে অরগানিক উপায়ে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সহায়তা করে।
এদিকে এক প্রতিবেদনে মেটা নিশ্চিত করেছে, তারা ফেসবুক থেকে পাঁচশ’র বেশি অ্যাকাউন্ট, একটি গ্রুপ ও ১১টি পেজের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম থেকে ৩০টি অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলেছে, যেগুলোর সম্পৃক্ততা ছিল ওই একই মিশনের সঙ্গে।