Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 4:50 am

স্টাইলক্রাফটের দর বেড়েছে ৬৪.২০%

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৪১ লাখ ৮০০ টাকা। সপ্তাহশেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১২ কোটি পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা।

সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর পাঁচ শতাংশ বা ১৩৩ টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ দুই হাজার ৫৩৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল দুই হাজার ৫৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ হাজার ৮০৫টি শেয়ার মোট ৫৫১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ দুই হাজার ৫৩৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে দুই হাজার ৭৯৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর এক হাজার ২৩০ টাকা থেকে দুই হাজার ৮৯০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ৮০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ টাকা ৪৭ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৫০৮ টাকা চার পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ নভেম্বর। এজিএমের স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৫ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময়ে ইপিএস হয়েছে ৯৫ টাকা ৪২ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৪৬২ টাকা ৯৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এক কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস ছিল ১৬ টাকা ৫৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল সাত টাকা ১৯ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ৯ টাকা ৩৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৪৭৯ টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮৯ টাকা ৮০ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০ টাকা ৪১ পয়সা, অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ছয় পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ২৬ টাকা ৯৩ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ টাকা ৫২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৪৮৯ টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৩৯৯ টাকা ২৯ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ১২ টাকা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৬৬ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট পাঁচ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৫১ কোটি ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ৪৭ পয়সা এবং এনএভি ৩১ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৮ পয়সা ও ২৮ টাকা ৪৭ পয়সা।

‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার  ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৫৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৬৪ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩২ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২৯ টাকা ৫৩ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১১৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৮৫ কোটি ৫২ লাখ ৯ হাজার ৬৯৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি ৪৩ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে পাঁচ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ড্যাফোডিল কম্পিউটারসের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ৪৪ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ১২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, ইফাদ অটোরসের ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ, কোহিনূর কেমিক্যালসের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, ফার্মা এইডসের আট দশমিক ৩৭ শতাংশ, এমবি ফার্মার আট দশমিক ১৯ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনসের সাত দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের সাত দশমিক ২০ শতাংশ দর বেড়েছে।