নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন পর দেশের পুঁজিবাজারে গতি ফিরেছে। এ গতিশীল বাজারে অস্থিরতা নেই। তাই গতিশীল পুঁজিবাজারে যাতে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, সে জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠকে উল্লিখিত বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় সময়ই স্টেকহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বৈঠক করে। যখন বাজারের মন্দাভাব ছিল, তখন গতিশীল বাজারের লক্ষ্যে বৈঠকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নিরাপদ বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে গতকালের বৈঠকে। এ লক্ষ্যে বাজারে যাতে কমপ্লায়েন্স (প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন) পরিপালন নিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যাতে কোনো প্রতিষ্ঠানের সুশাসনের অভাবে পুরো বাজারের ক্ষতি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয় বিএসইসি। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই বাজার স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে একমত হয় স্টেকহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, এটি আমাদের নিয়মিত বৈঠক। বর্তমান গতিশীল বাজার যাতে টেকসই হয়। সেই সঙ্গে বাজারে যাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তা বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থিতিশীল বাজারের লক্ষ্যে কমপ্লায়েন্স পরিপালনের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু শেয়ার লেনদেন ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কমপ্লায়েন্স পরিপালনের ওপর সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাছাড়া রুলস রেগুলেশন অনুযায়ী হাউজগুলো যাতে কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে স্টেকহোল্ডারদের জানানো হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, আমরা সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেনের অনুরোধ জানিয়েছি। আমাদের মনে হচ্ছে, বাজার ওভার ভ্যালুয়েড হয়ে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে বিনিয়োগকারী এবং হাউজগুলোকে সতর্ক থাকা দরকার।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন পর ভালো অবস্থানে এসেছে। সবাই মিলে কমপ্লায়েন্স পরিপালনের মধ্য দিয়ে এ অবস্থানটা ধরে রাখতে চাই। ব্রোকারেজ হাউজগুলো যাতে আইন-কানুন পরিপালন করে মার্জিন লোন এবং অন্যান্য বিধিবিধান মেনে লেনদেন করে। কোনো রকম নন-কমপ্লায়েন্সের কারণে বাজার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি স্থিতিশীলতার মধ্যেই বাজার এগিয়ে যাবে।
বিএসইসিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিএসই, সিএসই, ডিবিএ এবং বিএমবিএসহ স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।