শেয়ার বিজ ডেস্ক: গত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সাত হাজার ৭১৮ কোটি রুপি লোকসান হয়েছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই)। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) চিহ্নিত করার নিয়ম পরিবর্তন করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক। বন্ধ করেছে ঋণ পুনর্গঠনসহ পুরোনো বেশ কিছু প্রকল্পও। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই লোকসান বেড়েছে বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছে এসবিআই। খবর আনন্দবাজার
ব্যাংকটির দাবি, এ সময়ে শেয়ার ও বন্ডে বিনিয়োগ থেকেও আয় কমেছে। বেড়েছে কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ খরচ। এই সবই লোকসান বাড়িয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের শেষ প্রান্তিকে এককভাবে তাদের লোকসান হয়েছিল দুই হাজার ৮১৪ কোটি রুপি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই এনপিএ নিয়ে চাপে রয়েছে ব্যাংকিং শিল্প। তার ওপর নানা জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসায় চাপ আরও বেড়েছে। আর্থিক সংস্থান করতে গিয়ে দেশের ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেশিরভাগই লোকসান করেছে। বাকিগুলোর মুনাফা কমেছে।
ব্যাংকের নতুন নিয়মে অনাদায়ী ঋণের জন্য গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হয়ে গেছে। সেজন্যই এই লোকসান বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এসবিআই জেনারেল ইনশিওরেন্স, এসবিআই ক্যাপিটাল মার্কেটস, এসবিআই কার্ডে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে চায় স্টেট ব্যাংক। চলতি ও আগামী বছরে তা বিক্রি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার।
প্রতিবেদন মতে, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এক হাজার ২৮৫ কোটি রুপি লোকসানের আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসান হলো তার কয়েকগুণ বেশি। গত ডিসেম্বরের হিসাবে, স্টেট ব্যাংক দুই হাজার ৪১৬ কোটি রুপি লোকসানের হিসাব দিয়েছিল। তিন মাসে অনাদায়ী ঋণের শতকরা পরিমাণ মোট ঋণের তুলনায় ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশে। এটা এসবিআইয়ের কাছে আর্থিক বছরে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
