স্ট্রি ট ফু ড আকারাজি

 

কোন দেশের স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবার সেরা? উঁহুঁ, সে বিতর্কে না গিয়ে আসুন জেনে নিই কোন দেশে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড না খেয়ে ফিরে আসার মানে জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা মিস করা! আজ ইয়াকিটরির কথা জানাচ্ছেন হাসানুজ্জামান পিয়াস

আকারা নামেও পরিচিত আকারাজি। বিশ্বের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ব্রাজিলের এই সুস্বাদু খাবারটি। পশ্চিম আফ্রিকা ও ব্রাজিলে বিশেষ করে বাইয়া রাজ্যের সালভাদোরের জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে দাসদের মাধ্যমে এই খাবারটি ব্রাজিলে আসে। বর্তমানে এই খাবারটি নাইজেরিয়া, ঘানা, টোগো, বেনিন, মালি গাম্বিয়া ও সিয়েরা লিয়নে বেশ জনপ্রিয়।

সাধারণত ক্রেতাদের সামনে খোসাহীন মটরশুঁটি, পেঁয়াজ ও লবণ দিয়ে চটকিয়ে তা অনেকটা চ্যাপ্টা বলের মতো তৈরি করা হয়। এরপর পাম অয়েলে ভালোভাবে ভাজা হয়। পরে সেটি মাঝ বরাবর চিরে চিংড়ি কিংবা টমেটো ও মরিচসহ ভাটাপা এবং কারুরু (মসলাজাতীয় এক ধরনের খাবার) দিয়ে ভরা হয় ও স্যান্ডউইচের মতো করে খাওয়া হয়।

আকারাজি শব্দটি ইয়োরুবা ভাষা থেকে এসেছে। আকারা শব্দের অর্থ ‘গোলাকার পেস্ট্রি’ ও জি অর্থ ‘খাওয়া’। দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার ইয়োরুবা মানুষ একে আকারা বলে। আকারা ইয়োরুবা সংস্কৃতিতে বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছে। আগে ইয়োরুবার কোনো মানুষ ৭০ বা তার বেশি বয়সে মারা গেলে প্রচুর আকারাজি তৈরি করা হতো এবং তা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করা হতো। তাছাড়া বিজয়ী হওয়ার প্রতীক হিসেবে প্রচুর আকারা তৈরি করা হতো। যখন যোদ্ধারা যুদ্ধ থেকে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসত তখন যোদ্ধাদের স্ত্রীরা প্রচুর পরিমাণে আকারা তৈরি করতেন এবং গ্রামের মানুষের মধ্যে বিতরণ করতেন।

আকারাজি ব্রাজিলের রাস্তায় গরুর মাংস, খাসির মাংস, চিংড়ি, পিগউইড, ফুফু ওসান সস, নারিকেল প্রভৃতি সহযোগে পরিবেশন করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রথম বাইয়ায় আকারাজি বিক্রি শুরু হয়। বর্তমানে এই শহরটিতে পাঁচশর বেশি আকারাজি ভেন্ডর রয়েছেন। বর্তমানে ব্রাজিলের বাইয়ায় অধিকাংশ ভেন্ডর নারীরা পরিচালনা করেন। সাধারণত তারা সাদা কটনের ড্রেস পরে থাকেন। নারীদের বাইয়ানাস নামে ডাকা হয়। বাইয়া রাজ্যের বাইরে সারগিপি রাজ্যে ও রিও দি জেনেরিও’তে পাওয়া যায় জনপ্রিয় এই স্ট্রিট ফুড।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০