নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজারেরও বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬ হাজার ৭৮৩ জন। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ ভোগেন স্তন ক্যানসারে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের (আইএআরসি) এক হিসাবে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের শ্রেণিকক্ষে স্তন ক্যানসারবিষয়ক সেমিনার ‘সিএমই অন ব্রেস্ট ইমেজিং অ্যান্ড ইন্টারভেনশন’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বলা হয়, সচেতন হলে স্তন ক্যানসার নিরাময় করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৩৫ বছরের ওপরের নারীরা ম্যামোগ্রাফিক স্ক্রিনিং করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে স্তন ক্যানসার নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এটি সম্ভবত খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাবও হতে পারে। এছাড়া বর্তমানে সচেতনা ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং বাড়ার কারণে এ সমস্যা সবার সামনে আসছে। এ ক্ষেত্রে রেডিওলজি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংয়ের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীজানুর রহমান, এসএইচআইবিপিএস’র রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত, জাতীয় হƒদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজা, এসএইচআইবিপিএস সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিদুরা তানিম, বারডেমের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা ইয়াসমিন, বিএসএমএমইউর রেডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারজানা আলম, ভারতের কোভাই মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালের (কেএমসিএইচ) রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. রুপা রাঙ্গানাথ।
একই সঙ্গে সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতিমা জোহরা।
অনুষ্ঠানে প্যানেল অব এক্সপার্টে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন আল আযাদ, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল বারী, মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, বারডেম হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ তাহের, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহারা হক জেরিন।