স্ত্রী হত্যার ২০ বছর পর পলাতক স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার প্রায় ২০ বছর পর স্বামী রতন মিয়াকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে  মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষনার সময় আসামী রতন মিয়া পলাতক ছিলেন।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

রতন মিয়া বগুড়া শহরতলীর মধ্য পালশা এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত পিপি বিনয় কুমার দাস বিশু জানান, ২০০২ সালের ২০ জুন রতন মিয়ার স্ত্রী শাকিলার ভাই সারোয়ারের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে রাগ করে রতন শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসেন। পরের দিন ২১ জুন রতন তার স্ত্রী শাকিলাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। ওই রাতেই রতন কৌশলে স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী গোদারপাড়া বাজারের অদূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে স্ত্রী শাকিলার গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর রতন পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ শাকিলার মরদেহ উদ্ধার করে।

এঘটনায় নিহতের ভাই সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রতনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ রতনকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের  অক্টোবর মাসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রতনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর রতন মিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপন করেন। পরে তার অনুপস্থিতেই বিচার কাজ চলতে থাকে। দীর্ঘ শুনানীর পর হত্যাকান্ডের প্রায় ২০ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষনা করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০