নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর প্রণীত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। গতকাল সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এসে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে স্থলবন্দরে দুর্নীতির ১৪টি উৎস চিহ্নিত করেছে দুদক। এই দুর্নীতি প্রতিরোধে তারা ২৮টি সুপারিশও করেছে।
প্রতিবেদন দাখিলের পর সাংবাদিকদের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ধরার চেয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা ইতোমধ্যে ১৬টি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদনগুলো সাদরে গ্রহণ করেছে। এটি শুধু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নয়, এটি একটি দলিল।’
মোজাম্মেল হক খান আরও বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীও আমাদের প্রতিবেদনটি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমাদের বিশ্বাস, এই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে তারা যদি আমাদের সুপারিশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেন, তাহলে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব।’
এর জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দুদকের এই প্রতিবেদনটি সাদরে গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছি। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের একটি লক্ষ্য। তবে এটি একটি চ্যালেঞ্জও বটে।’