নিজস্ব প্রতিবেদক : রেকর্ড ডেটের কারণে স্পট মার্কেটে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের প্রতিষ্ঠান আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ জুলাই। এর আগের দুই কার্যদিবস অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও আগামী রোববার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। মূলত উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ৯০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। পাশাপাশি কোম্পানিটি গাজীপুরে ৩৩ দশমিক ৯১ একর জমি কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রিনফিল্ড প্রকল্পের মাধ্যমে দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ হাজার বর্গমিটার বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। আর এ লক্ষ্যে কোম্পানিটি ৯ হাজার ২৫ মিলিয়ন বা ৯০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে। এছাড়া গাজীপুরে জমি কিনতে কোম্পানিটি নিবন্ধন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে ৬২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএকে একরামুজ্জামান ও অন্যদের কাছ থেকে এ জমি কেনা হবে। বিষয়টিতে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া হবে। এ জন্য আগামী ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইজিএম আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছরের ৪ জুলাই।
এদিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১২ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা। এছাড়া এ আর্থিক বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৩৬ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৭৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৬ টাকা ৪১ পয়সা। আর ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল দুই টাকা ৮৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার।