নিজস্ব প্রতিবেদক: রেকর্ড ডেটের কারণে স্পট মার্কেটে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের প্রতিষ্ঠান আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। এর আগের দুই কার্যদিবস অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী রোববার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৯ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ১২ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা। এছাড়া ওই আর্থিক বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৩৬ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ০৬ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৮ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। গত এক বছরের মধ্যে সিরামিক খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মাত্র তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৭টি শেয়ার ৫৭৬ বার হাতবদল হতে দেখা গেছে। যার বাজারদর ছিল এক কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতকাল দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়।