নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার আজ থেকে স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২১ জুন রোববার। তাই আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
সম্পতি ব্যাংক খাতের কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত
হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাড়ে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ জুন।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪৭ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৪৬ পয়সা। এছাড়া ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে পাঁচ পয়সা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস
পাঁচ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ২৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ২৩ টাকা ৫৭ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ১২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৯৭ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২৩ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর দশমিক শূন্য সাত শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৮০ পয়সায়
হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৭২টি শেয়ার মোট ৯৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৫ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৩ কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৮টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৩৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৭ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর তিন দশমিক ৫১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত সাত দশমিক ৩৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ৭৫।