Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 8:27 am

স্পট মার্কেটে যাচ্ছে বিচ হ্যাচারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ার বৃহস্পতিবার থেকে স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি। তাই ২৬ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১১ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউনে অবস্থিত উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ জানুয়ারি।

এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। আর এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান এক পয়সা কমেছে।

প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে আট পয়সা, আগের বছর একই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৯ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান এক পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ছয় পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে তারিখে ছিল ১০ টাকা ১৪ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা। ওইদিন এক লাখ ১২ হাজার ৯৫১টি শেয়ার মোট ১৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ লাখ ছয় হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আর তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫৪ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১২ টাকা ৩৮ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে এক টাকা ১৪ পয়সা এবং ১৩ টাকা ৬২ পয়সা। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই কোটি আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ১৪ লাখ এক হাজার ২১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।