নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড আজ থেকে স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী রোববার। এর আগের দুই কার্যদিবস, অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৫ টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৭ টাকা তিন পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি বেলা ১১টায় নেভি কনভেনশন সেন্টার, টাইগারপাস, চট্টগ্রামে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর।
এদিকে, গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৮২ শেয়ার এক হাজার ৫৮৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৯৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯৭ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১৯ টাকা থেকে ২৪৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১৩ টাকা ২০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগের বছর ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা ২৮ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৩৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ১১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাদের মোট ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৮২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ছয় দশমিক ৪১।
