Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:22 am

স্পিনিং খাতে সরকারি সহযোগিতা জরুরি

আবুল কাসেম হায়দার: তৈরি পোশাকশিল্পের উত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্পবিপ্লবের যাত্রা শুরু। ১৯৮৪ সাল থেকে তৈরি পোশাকশিল্পে মূলত স্বল্প আকারে রপ্তানি শুরু হয়। দীর্ঘ ৩৬ বছরে তৈরি পোশাক খাত যৌবনে পদার্পণ করেছে। একে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এখনও তৈরি পোশাকের বিকল্প বা সমকক্ষ কোনো রপ্তানি খাত আমরা প্রস্তুত করতে পারিনি। জাতীয় রপ্তানির সিংহভাগ এখনও তৈরি পোশাকশিল্প খাত থেকে হয়।

বস্ত্রশিল্প খাতের মূলত তিনটি বড় উপখাত রয়েছে। একেকটি খাত অন্য খাতের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। সুতা তৈরির জন্য স্পিনিং খাত, কাপড় তৈরির জন্য উইভিং খাত ও পোশাক তৈরির জন্য রয়েছে ডায়িং ও ফিনিশিং খাত। এসব ক্ষেত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে পোশাক তৈরি করা হয়।

সরকার সম্প্রতি কাপড়ের মিলের জন্য এক শতাংশ প্রণোদনা প্রদানে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও সুতার মিলকে এর বাইরে রেখেছে। অথচ সুতা বা স্পিনিং মিলে বিনিয়োগের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এছাড়া বর্তমানে নানা কারণে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের অগ্রসরমাণ এই খাত। বিশেষ করে দেশে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বা কাঁচামালে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশ্নে সুতার মিলের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু নানা রকম ষড়যন্ত্রের কারণে এই খাত এখন সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে। লাখ লাখ টন সুতা অবিক্রীত অবস্থায় গোডাউনে পড়ে আছে।

সংকট উত্তরণে এ খাতের উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা মনে করেন অবশ্যই কাপড় মিলের জন্য প্রণোদনা প্রয়োজন; কিন্তু প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সুতার মিলের জন্য বেশি পরিমাণে প্রণোদনা দেওয়া খুবই জরুরি বিষয়। অথচ সরকারের পলিসি প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা বেমালুম বিষয়টি চেপে গেছেন। তারা বলেন, এই সাধারণ বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য নীতিনির্ধারক মহলের সুতার মিলের মালিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।

বস্ত্র খাতের বিদ্যমান বাস্তব অবস্থা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলেই এটি সহজে অনুধাবন করা সম্ভব। তারা আশা করছেন, দেশে শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার নিশ্চয় সুতার মিলের জন্য গ্রহণযোগ্য পরিমাণে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেবে। পাশাপাশি শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধায় দেশে আসা সুতা যাতে কালোবাজারে বিক্রি হতে না পারে, তা শক্তভাবে প্রতিহত করবে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত সুতার স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর পলিসি প্রণয়নে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে।

টেক্সটাইল মিলগুলোকে প্রণোদনা না দেওয়া হলে দেশে সুতার মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাদের প্রাইমারি টেক্সটাইলকে এগিয়ে নিতে ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারত বাংলাদেশে তাদের বাজার সম্প্রসারণ করবে। সংগত কারণে বাংলাদেশ সরকার এখনই দেশীয় মিলগুলোকে প্রণোদনা না দিলে বা ব্যবস্থা না নিলে, লাখ-কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে।

প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি বস্ত্র খাতে রপ্তানিতে এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তার পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টেরিটাওয়েল ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইলকে সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হলেও সুতার মিল বা প্রাইমারি টেক্সটাইলকে রাখা হয়নি। এ কারণে সুতার মিল মালিকরা সংক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল তৈরি পোশাকের মতো সুতার মিলকেও সহায়তা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে দেশে ৪০০টি সুতার মিল রয়েছে। এসব মিলে অবিক্রীত অবস্থায় আট লাখ টনেরও বেশি সুতা পড়ে আছে। এর মূল কারণ সুতার মিলের জন্য সরকারের ভুল নীতি গ্রহণ। গার্মেন্ট মালিকদের তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য বন্ড সুবিধায় সুতা আমদানির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যার কিছু অংশ ব্যবহার করে গার্মেন্ট মালিকরা বাকিটা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণে দেশীয় সুতার মিলগুলোয় সুতা অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া ঋণের উচ্চ সুদ, জ্বালানির ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ও বন্দর অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে উৎপাদিত সুতার উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। এর চেয়ে কম দামে বিদেশ থেকে সুতা চোরাপথে দেশে প্রবেশ করছে। দাম কম হওয়ায় চোরাই সুতার কাছে দেশীয় সুতা মার খাচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বর্তমানে পৃথিবীর যেসব দেশ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, এর পেছনে সেসব দেশের সরকারের অবদান রয়েছে। কোনো দেশেই সরকারের নীতি-সহায়তা ছাড়া ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে উঠতে পারেনি।

উপরন্তু ভারত-চীন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি থাকা সত্তে¡ও প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছে। তারা বলেন, সরকার যদি মনে করে, উল্লিখিত দেশের মতো এখানেও বস্ত্র খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে তুলবে, তাহলে সর্বাগ্রে সুতার মিলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাকওয়ার্ড শিল্পের বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পলিসি বানাতে হবে। তারা বলছেন, বলতে গেলে মাটি, পানি ও বায়ু ছাড়া দেশের উদ্যোক্তাদের কাছে কিছু নেই। শিল্পের সব কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। এছাড়া সুতার মিলের মূল কাঁচামাল তুলা।

তাই মানসম্পন্ন এই তুলার উৎপাদন বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শুধু কাগজে-কলমে নীতি গ্রহণ করলে হবে না, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন দেশে তুলা উন্নয়ন বোর্ড থাকলেও তুলা উৎপাদনে কী ভ‚মিকা রাখছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। তারা বলছে, উৎপাদন খরচের কারণে বিদেশি সুতার চেয়ে দেশি সুতার দাম অপেক্ষাকৃতভাবে একটু বেশি। সরকার যদি দেশি সুতার মিলে ভর্তুকি ও নীতিসহায়তা দেয়, তাহলে অর্থনীতিতে এর বহুমুখী ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ বস্ত্র খাতের সঙ্গে সাবসেক্টর হিসেবে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অনেক কিছু জড়িত। তাই এ খাতে সরকার ভর্তুকি দিলে তার কয়েকশ গুণ সামগ্রিক অর্থনীতিতে ফিরে আসবে।

এ কারণে বর্তমানে সুতার মিলগুলোকে রুগ্ণ দশা থেকে বাঁচাতে সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে বাজার সৃষ্টিতে সহায়তা করা। এজন্য আইন করে হলেও গার্মেন্ট মালিকদের দেশীয় সুতা কিনতে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনে দেশীয় সুতা ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাশাপাশি বন্ডের সুতা বাইরে বিক্রি বন্ধ এবং প্রাইমারি টেক্সটাইলকেও তৈরি পোশাকের মতো নগদ সহায়তা দিতে হবে।

সরকার সুতার মিলের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিলে একসময় দেশে বিদেশি সুতা আমদানির প্রয়োজন পড়বে না। তখন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে ব্যাপক হারে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। এসব যৌক্তিক কারণে উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সুতার মিলে সরকারকে প্রণোদনা দেওয়া খুবই জরুরি। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের মতে, শুধু বড়লোক হওয়ার জন্য শিল্পপতিরা শিল্প স্থাপন করেন না। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে শিল্পপতিদের বড় ভ‚মিকা রয়েছে। এজন্য বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

এখন শিল্পের যে অবস্থা, তাতে সরকারের প্রণোদনা ছাড়া টিকে থাকা কষ্টসাধ্য। প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের শিল্পের স্বার্থে ডলারের অবমূল্যায়নসহ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় বস্ত্র খাতের মতো সুতার মিলেও এফওবি মূল্যের এক শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হলে এই শিল্পের জন্য বড় সাপোর্ট হবে। শিল্পের স্বার্থে সরকারের প্রণোদনা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সুতার বিক্রি কমে গেছে। তাই সরকার সময়মতো সিদ্ধান্ত না নিলে দেশীয় স্পিনিং মিলগুলো টিকে থাকতে পারবে না।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুতা আমদানিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বন্ড সুবিধায় আনা ভারতীয় সুতা বিক্রি হয় দুই ডলার ৩০ সেন্টে। বাস্তবে এসব সুতা আনতে এলসি খোলা হয় তিন ডলারের বেশি। এভাবে একটি চক্র বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করে আসছে। অন্যদিকে বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি সুতার দাম আড়াই ডলার, যদিও এ দরে বিক্রি করে অনেকে খরচ তুলতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে ছয় মাসের সুতা আমদানির তথ্য যাচাই-বাছাই করলেই প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

কিছু নতুন উদ্যোগের প্রয়োজন

এক. দেশের বস্ত্র খাতের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ স্পিনিং খাতে। এই খাতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি পোশাকশিল্পের ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে। এই খাতে ধস নামলে রপ্তানিতে বড় রকমের বিপদ নেমে আসবে। তাই সুতা তৈরির স্পিনিং খাতের জন্য যেকোনোভাবে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ জন্য তৈরি পোশাকশিল্পের মতো এ খাতে পাঁচ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। অবিলম্বে সরকার এই উদ্যোগ নিতে পারে।

দুই. দেশে ব্যাংকগুলো সুদের হার বৃদ্ধি ১২ থেকে ১৯ শতাংশে উন্নীত করেছে। এই বিশাল সুদ দিয়ে বস্ত্র খাতে ব্যবসা করা বড় কঠিন। বস্ত্র খাতের জন্য সুদের হার ৯ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা প্রয়োজন।

তিন. স্পিনিং খাতে গ্যাস ও বিদ্যুতের  মূল্য বৃদ্ধি একেবারে বন্ধ রাখা দরকার। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি হওয়ায় বস্ত্র খাত হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি ও কাঁচামাল অত্যধিক বাড়তি থাকায় এ খাতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে কোনোক্রমেই প্রতিদ্ব›িদ্বতায় টিকে থাকা যাচ্ছে না। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির লাগামকে এক্ষুনি শক্তহাতে বন্ধ করা প্রয়োজন।

চার. বন্ডের আওতায় সুতা আমদানির ওপর কড়া নজরদারি রাখা প্রয়োজন। বন্ডের সুতা খোলাবাজারে বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটছে। রপ্তানি বৃদ্ধির স্বার্থে খোলাবাজারে বন্ডের সুতা বিক্রি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা প্রয়োজন। সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

পাঁচ. স্পিনিং খাতের উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য তৈরি পোশাকশিল্পের সুতা আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দেশীয় শিল্প রক্ষার্থে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সুতা দেশীয় স্পিনিং মিল থেকে কেনার বিধান জারি করা প্রয়োজন। তাতে দেশীয় সুতা মিলগুলোয় অবিক্রীত লাখ লাখ টন সুতা কখনও জমা থাকবে না। তাছাড়া সরকার দেশের স্বার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে। একসময় সুতা আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। তখন থেকে দেশে স্পিনিং খাতের উন্নতি ঘটতে থাকে। রপ্তানিকারকদের জন্য দেশীয় সুতা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকা প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের বস্ত্র খাতকে রক্ষা ও তার উন্নতির জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। তাই আমাদেরও দেশের স্বার্থে কিছু সঠিক, স্বচ্ছ ও দ্রæত বাস্তবায়নযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া অতীব জরুরি।

ছয়. একসময় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। কারণ স্থলবন্দর দিয়ে অতি সহজে বন্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত সুতা আমদানি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্পিনিং খাতের দারুণ ক্ষতি করেছে। বিগত সরকারের এ উদ্যোগের ফলে দেশে বস্ত্র খাত সম্প্রসারিত হয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। কিন্তু এখনও তেমন উদ্যোগ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করা খুবই প্রয়োজন। দেশের বিরাজমান অর্থনীতির বিচারে ব্যাংক খাত তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সুশাসন ও কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতের সংস্কার অতীব জরুরি। দ্রæত সংস্কারকাজ শুরু করতে না পারলে ভবিষ্যতে আর্থিক খাতকে আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। যেমন সংস্কার ও আইনের সুশাসন কায়েম না হওয়ায় পুঁজিবাজারের অবস্থান বর্তমানে তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ছয় দফা নির্দেশনার ফলে পুঁজিবাজার অনেক দিন পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে; তবে দেখতে হবে, ভবিষ্যতে এর অবস্থান কী হয়। বস্ত্র খাতের ধস হওয়া মানে সমগ্র অর্থনীতিতে ধস নেমে আসা। আমরা তা থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে চাই।

সাবেক সহসভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ

বিজিএমইএ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

ও ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড

অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল