স্বপরিবারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী

প্রতিনিধি, নোবিপ্রবি: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী আরমান আহমেদ ও তার পরিবার নিজ বাড়িতে এক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সকলেই বর্তমানে হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

জানা যায়, ৯ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চরমটুয়া ইউনিয়নের নেওয়াজের ডগী এলাকায় আবু কালামের ছেলে আলতাফ উদ্দিন মারুফ পথিমধ্যে আরমানের গতিরোধ করে হঠাৎ মারতে যায়। মারার এক পর্যায়ে মারুফ রড় দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আরমানের মাথা ফেটে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

খোঁজ পেয়ে তার বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিতে আসলে তাদের উপর ও অতর্কিত হামলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। এসময় মারুফ ও তার ফুফাতো ভাই নোমানের নেতৃত্বে বাপ্পি, সবুজ, শিবলু, সালমান, লিঠন, মোস্তফা, সাদ্দামসহ ১০-১৫ জন তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে।

এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আরমানের পরিবারের অন্য সদস্যদের ও। এতে গুরুতর আহত হন আরমানের মা-বাবা, ছোট ভাই সহ পরিবারের মোট ৬ জন সদস্য হামলার শিকার হন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার মা-বাবার অবস্থা খুবই আশংকাজনক।

এছাড়া সকলেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরমান আহমেদ বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মারুফ আমার সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। কিছু বুঝে উঠার আগে আমার উপর আঘাত করে। পরবর্তীতে ধারালো দা, ছুরি ও ইট নিয়ে তারা আমার উপর এবং আমার পরিবারের উপর হামলা করে।

পরে আবার সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে৷ এলোপাতাড়ি সব কুপাতে থাকে।আর বাবার কাছে থাকা নগদ চল্লিশ হাজার টাকাসহ সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি করে।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদূর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সে এবং তার পরিবার এতে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা পাবেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ প্রশাসনের নিকট এই নারকীয় হামলার বিচার দাবী করেন।

নোয়াখালী সদর থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, আমরা এই বিষয়টি জেনেছি। সঠিক ভাবে তদন্ত করে আমরা এর উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করবো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০