স্বপ্নের পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে স্প্যানটি ৩৭ ও ৩৮নং খুঁটির (পিলার) ওপর বসানো হয়। ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে টেনে এনে স্প্যানটি বসানো হয়েছে।
এই স্প্যানের ওজন ৩ হাজার ২শ টন। ৩৬শ’ টন ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন (জাহাজ) স্প্যানটিকে টেনে নিয়ে যায় ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির কাছে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হবার পরেই স্প্যান স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পিলার দুটির কংক্রিটের শক্তি ৫০ মেগা প্যাসকেল। তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতু দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুতে কর্মরত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা খুবই আনন্দিত। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার কারণে আজ সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। তবে সম্পূর্ণভাবে স্প্যানটি বসাতে আরো সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ হয়েছে বলেও জানান শফিকুল।
এদিকে ৩৯, ৪০ ও ৪২ নম্বর পিলারের কাজও খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। শিগগিরই ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপরও স্প্যান বসানো হবে। চারটি পিলারের ওপর মোট তিনটি স্প্যান বসানো হবে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের প্রায় ৪৭ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগামী বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।