নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বিএফআইইউর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। গতকাল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে বাজুসের এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়াল।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে স্বর্ণের বার নিয়ে আসা বন্ধ হলে অনেকাংশেই অর্থ পাচার কমবে। পাশাপাশি ডলার সংকট নিরসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তাই চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সহযোগিতা চেয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করছে সবধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাজুস একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের প্রথম কাজ হবে দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এছাড়া বিএফআইইউর সঙ্গে সব ধরনের তথ্য বিনিময় করব। এতে আমাদের কাজ আরও সহজ হবে।
সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি বাজুসের কোনো সদস্য স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের ৪০ হাজার সদস্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেউ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নেই বলে দাবি করেন তিনি।
সভায় বাজুস জানায়, আমরা ধারণা করছি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এ সময় বাজুসের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে, সোনা চোরাচালান ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাজুসের সমন্বয়ে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন, আইন সংশোধন করে আরও কঠিন আইন প্রণয়ন এবং জোরালো অভিযান নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।
সভায় বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের মতো আন্তর্জাতিক সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে বিএফআইইউর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
