ক্রীড়া প্রতিবেদক: কয়েকদিন পরই নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান গেমস। যেখানে ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে আজ দেশ ছাড়ছে লাল-সবুজদের অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। তার আগে ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু জানিয়েছেন, এ টুর্নামেন্ট থেকে স্বর্ণ জিতেই ফিরতে চায় বাংলাদেশ।
এবারের এশিয়ান গেমসে আর্চারির ওপরই স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ফুটবলে। কারণ, প্রায় জাতীয় দল নিয়েই অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিন সিনিয়র কোটায় নেওয়া হয়েছে অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া, ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। নিজেদের শক্তিশালী দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের না খেলার সম্ভাবনা। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, গেমসের ফুটবলে অংশ নেবে না প্রতিবেশী দেশটি। সে হিসাবে বাংলাদেশের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ থাকবে, নেপাল। আর সেই চ্যালেঞ্জ টপকাতে পারলে স্বর্ণ জেতা অসম্ভব হবে না।
দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে এর আগে বাংলাদেশ ফুটবল দল প্রথম স্বর্ণ জিতেছিল ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডুতে। এরপর ২০১০ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। ২০১৬ সালে দলটি পেয়েছিল ব্রোঞ্জ।
এবারের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ফুটবল ইভেন্টের জন্য বাংলাদেশ ক্যাম্প করতে পারবে কি পারবে নাÑতা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। কেননা বসুন্ধরা তাদের আট খেলোয়াড় ছাড়তে চেয়েছিল ৩০ নভেম্বর। তবে দেশের স্বার্থে ক্লাবটি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আজই নেপাল উড়ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল। আগামীকাল থেকে তাই সেখানেই নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনুশীলন শুরু করবে। এমনটাই জানিয়েছেন লাল-সবুজদের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু, ‘বুধবার যাচ্ছি। খেলোয়াড়রা সবাই সরাসরি ওখানে যাবে। কোচ জেমি ডেরও সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে এ দিনই। নেপালেই ক্যাম্প হবে।’
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হবে এসএ গেমস। নেপালে অনুষ্ঠিত সেই গ্রুপিং অনুযায়ী ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী নেপাল ও ভুটান। উদ্বোধনী দিনেই ফুটবলে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল: আনিসুর রহমান জিকো, পাপ্পু হোসেন, মাহফুজ হাসান প্রিতম, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, টুটুল হোসেন বাদশা, রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, সুশান্ত ত্রিপুরা, জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, রবিউল হাসান, আল আমিন, মাহবুবুর রহমান, সাদউদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন, রাকিব হাসান, আরিফুর রহমান ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।