মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের নি¤œমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ২৭ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে সূচকের অবস্থান হয়েছে ছয় হাজার ৮৫১ পয়েন্ট। একইভাবে হ্রাস পেয়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে হ্রাস পেয়েছে ২৫১টির। পক্ষান্তরে দর বাড়ে ১০৫টির। অপরিবর্তিত ছিল ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর।
এদিকে গতকালের বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল তুলনামূলক কম পরিশোধিত মূলধনধারী কোম্পানির শেয়ারে। দিন শেষে এক থেকে ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে দেখা গেছে ৫০ শতাংশ বিনিয়োগকারীকে।
অন্যদিকে গতকালের মোট লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, এদিন শীর্ষে ছিল আর্থিক খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। গতকাল এ খাতের শেয়ার মোট লেনদেনে ১৫ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এর পরের অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১১ শতাংশের বেশি। এছাড়া মোট লেনদেনে ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত উল্লেখযোগ্যহারে অবদান রাখে।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ২২৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৩২ কোটি টাকার বেশি। গতকাল এ মার্কেটে ৪৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০০টি শেয়ার ৮৯ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৩২ কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মেট্রো স্পিনিংয়ের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। �����}k�+