রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজার গতকাল ইতিবাচক গতিতে ছিল। সবগুলো সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও ঊর্ধ্বগতি ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৪৮ কোটি টাকার মতো বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ৯২ কোটি টাকা। সিএসইতে বিএটিবিসির প্রায় ১২০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচার কারণেই এ বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে শেয়ার কেনার চাপ তেমন না থাকলেও ধীরে ধীরে বেড়েছে। তবে গত বুধবার দুর্বল ও উৎপাদনহীন দুটি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ডিএসই থেকে তালিকাচ্যুত করা হয়। এ কারণে গতকাল স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কম ছিল বাজারে। গত কিছুদিন ধরেই বেশকিছু স্বল্প মূলধনি কোম্পানির দরমূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বস্ত্র, প্রকৌশল এবং টেলিযোগাযোগ খাতে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় প্রকৌশল খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশ বা ২৩০ কোটি টাকা। এ খাতের ৫৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ন্যাশনাল পলিমার, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল ও বেঙ্গল উইন্ডসর দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। বিবিএস কেব্লসের সাড়ে ৫০ কোটি এবং ইফাদ অটোসের সাড়ে ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৬৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। রিজেন্ট টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৫৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল ও এসিআই লিমিটেড দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। এছাড়া ইবনে সিনার সাড়ে ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বিবিধ ও জ্বালানি খাতে ৯ শতাংশ করে লেনদেন হয়। জ্বালানি খাতে ৬৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের ইউনাইটেড পাওয়ারের প্রায় ২০ কোটি, খুলনা পাওয়ারের ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। খাদ্য খাতে মাত্র তিন কোম্পানির দর বাড়লেও গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ২৫ কোটি টাকায় সর্বোচ্চ-সংখ্যক ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি এবং সেবা ও আবাসন খাতে ৭৫ শতাংশ ও টেলিযোগাযোগ খাতে শতভাগ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে পাট খাত ও কাগজ মুদ্রণ খাতে শতভাগ, সিরামিক খাতে ৮০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৭২ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল।