শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের পুঁজিবাজারে গত মঙ্গলবার অপরিবর্তিত ট্রেডিংয়ের (ফ্ল্যাট নোট) পর গতকাল বুধবার গতি পায়। সকালের অধিবেশনে অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষমেশ গ্রিনজোনে বন্ধ হয় সূচকগুলো। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খবর: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
বুধবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স প্রায় শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ বা ২৬৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৭৪ হাজার ২২১ দশমিক ০৬। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি প্রায় শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৬৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট ঊর্ধ্বগামী হয়ে পৌঁছায় ২২ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৮০-এর স্তরে। তবে অনিশ্চয়তার সূচক কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এদিন ইন্ডিয়া ভিক্সের ১ দশমিক ৬০ শতাংশ নিম্নগামী ছিল।
এদিন মিডক্যাপ বিভাগ বৃদ্ধি পেলেও নিম্নগামী ছিল স্মলক্যাপের সূচক। নিফটি স্মলক্যাপ ১০০-এর সূচক প্রায় শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। বাজার বন্ধের সময় নিফটি ব্যাংক, নিফটি অটো, নিফটি পিএসইউ ব্যাংক, নিফটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস ও নিফটি মেটালের সূচকে ক্ষতি হয়েছিল। এই সূচকগুলো যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬৬, শূন্য দশমিক ১৪, শূন্য দশমিক ৩৪, শূন্য দশমিক ৭২ ও শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ হ্রাস পায়।
সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিফটি আইটি, নিফটি ফার্মা, নিফটি এফএমসিজি ও নিফটি রিয়েলটির সূচক। এগুলো যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৭০, শূন্য দশমিক ৬৮, ১ দশমিক ৩৪ ও শূন্য দশমিক শতাংশ ঊর্ধ্বগামী ছিল।
বুধবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজারগত মূলধনের পরিমাণ ১ দশমিক ৩৬ লাখ কোটি রুপি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪১৫ দশমিক ৯৮ লাখ কোটি। তবে এদিন বাজারে বিয়ারিস প্রবণতা ছিল। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৯০১টির শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ হাজার ৯৩২টি শেয়ারের দাম কমেছে। ১১৫টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
