শেয়ার বিজ ডেস্ক : স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর কী বক্তব্য দেওয়া উচিত, এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সাল থেকে তিনি এ পন্থা অবলম্বন করে আসছেন। এ বছরও তিনি সামাজিক গণমাধ্যম, নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ ও ই-গভর্ন্যান্স পোর্টালে এ-সংক্রান্ত পরামর্শ চেয়েছেন নাগরিকদের কাছে। এতে বেশ কিছু বিষয়ে বিপুল পরামর্শ এসেছে এরই মধ্যে। কর্মকর্তারা ওইসব পরামর্শের সংকলন করে তা এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠিয়েছেন। আজ ৭০তম স্বাধীনতা দিবসে মোদির বক্তৃতায় সেই বিষয়গুলোর প্রতিফলন ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর দ্য হিন্দু।
বিপুল পরিমাণ পরামর্শের মধ্যে সিগারেট নিষিদ্ধের ঘোষণা দিতে পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। হিন্দু সমাজের কারো মৃত্যুর পর বড়মাপের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের রেওয়াজ রয়েছে। এটা গরিবের জন্য খুবই ব্যয়সাধ্য। গরিবদের রক্ষার্থে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আইন করার ঘোষণা দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব মোবাইল অ্যাপে ছয় হাজার এবং মাইগভ ডট ইন নামের ই-গভ পোর্টালে দুই হাজারেরও বেশি পরামর্শ এসেছে। এসব পরামর্শের মধ্যে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মানসম্মত শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন ভারত (স্বচ্ছ ভারত), দুর্নীতি রোধে ডিজিটাইজেশন, নারী শিক্ষার জন্য বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও প্রকল্প ইত্যাদি।
সেখানে জনপ্রিয় অপর একটি পরামর্শে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের হিসাবের জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করা হোক। এতে আগামী পাঁচ-দশ বছরের সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা স্পষ্ট হবে। এর মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিক ও সময়োপযোগী দক্ষতা ও শিক্ষাক্রম গড়ে তুলবে পারবে। এ বিষয়ে মোদির বক্তৃতায় আলোকপাত করাতে বলা হয়েছে। রাজস্থানের একজনের পরামর্শ ছিল প্রধানমন্ত্রী যেন তার বক্তৃতায় বলে দেন, প্রতিটি সন্তান জন্মের পর নিবন্ধনের আগে যেন তার অভিভাবকরা একটি করে গাছ লাগায়। একটি নতুন মানুষ প্রকৃতির যে ক্ষতি সাধন করবে তা মেটাতে এই প্রস্তাব করেছেন তিনি। হিমাচল প্রদেশের অপর এক ব্যক্তি পরামর্শ দিয়েছেন, অযোধ্যার বিরোধপূর্ণ স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ না করে স্কুল বা মাদ্রাসা নির্মাণ করার ঘোষণা আসুক। আর সারা ভারতেই যেন বিয়েতে অতিরিক্ত খরচ কমানোর আইন হয়।
Add Comment