নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাভাবিক নিয়মে ফিরতে চাচ্ছে দেশের ব্যাংকিং খাত। এজন্য আগামী ২৯ মে থেকে বাতিল করা হচ্ছে ব্যাংকারদের প্রনোদণা। ১৭ মে রোববার) এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে করোনাভাইরাসের কারণে সরকরি ছুুটিকালীন ব্যাংকাররা যে প্রণোদণা ঘোষণা দিয়েছিল তা বাতিল হচ্ছে। ২৯ মে থেকে ব্যাংকাররা নিয়মিত আকারে অফিস করবেন। এটি নির্ধারণ করবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু করোনা আক্রান্ত হলে ব্যাংকারদেও চিকিৎসা ভাতা সুবিধা এখনো বাতিল করা হয়নি। অবশ্য সরকারি সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকাররা যাতায়াত ভাতা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা বলা হয়, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের ন্যায় ব্যংকিং কর্মকাণ্ড গতিশীল করা আবশ্যক হয়ে পড়ছে। সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম ধীরে ধীরে প্রত্যাহারপূর্বক স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনর বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ব্যাংকগুলোকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। তাই ২৮ মে এর পর হতে ব্যাংকারদের জন্য ব্যাংকে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রদান অব্যাহত রাখা হচ্ছে না।
মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। তা ৩০ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সাধারণ ছুটি চলাকালে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী স্ব শরীরে ১০ দিন অফিস গেলেই ভাতা হিসাবে বাড়তি এক মাসের বেতন দেয়ার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে ১০ কার্যদিবসের কম স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে উক্ত ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ বিশেষ ভাতার পরিমাণ মাসিক সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা হবে। ব্যাংকের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
১২ এপ্রিল জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনটি দুই মাসের জন্য ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২৮ মে প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ দুই মাস পূরণ হচ্ছে।