স্বাভাবিক মৃত্যুর ৭০ শতাংশই অসংক্রামক রোগে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে দৈনিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর ১০ লাখ মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই (সাত লাখ মানুষ) মারা যায় অসংক্রামক রোগে।’ গতকাল রাজধানীর হোটেল ঢাকা শেরাটনে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) আয়োজিত বার্ষিক গবেষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নতুন অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য সেবায় উন্নয়নের মাধ্যমে সংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা টিবি, কলেরা, ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করেছি। এমনকি একটা মহামারি মোকাবিলা করেছি। এসব এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এ সময় অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে গেছে। যা আজকের গবেষণা পত্রে আমরা জানতে পেরেছি।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগে এসব মৃত্যুর অন্যতম দায় পরিবেশদূষণের। এর কারণেই এসব রোগ বেড়ে যায়। আমাদের লাইফ স্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস এসব রোগের অন্যতম কারণ। এসব রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর কারণে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেশ চাপ পড়ছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ও রাষ্ট্রীয় ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আমাদের সামগ্রিক উৎপাদনেও বাজে প্রভাব ফেলছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো চিকিৎসা দিতে গেলে গবেষণা দরকার। গবেষণায় সমস্যা ও এর সমাধান পাওয়া যায়। রিসার্চের ফাইন্ডিংসের মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হয়। তাই আমাদের বেশি বেশি গবেষণায় নিয়োজিত হবে। আজকে বেশ কিছু গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এসবে প্রাপ্ত ফলাফল আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে, বিশেষত এনডিসি মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষাতেও গুরুত্ব দিচ্ছি সারাদেশে বর্তমানে ৩৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ সংক্রান্ত ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় সরকারের নানা উদ্যোগ ও সফলতার তথ্য তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আহমেদুল কবির, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. ফজলে এলাহী খান প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০