নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার সুবিধা রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। পাশাপাশি জীবনবিমাও চালু করা হয়েছে। এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে তার অভিভাবক এক লাখ টাকা পাবেন।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো সব শিক্ষার্থীর জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালু করল। এর আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এ বিমা চালু ছিল।’
এর আগে পরীক্ষামূলক সাতটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিমা চালু করা হয়েছিল বলে জানিয়ে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাইলট স্টাডির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এটার সুফল পাওয়ায় এখন আমরা সব শিক্ষার্থীর জন্য এটা চালু করেছি।’
স্বাস্থ্যবিমার সুবিধাগুলো তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমা সুবিধা পাবেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে ক্যাবিন বা ওয়ার্ড ভাড়া, হাসপাতাল সেবা, অস্ত্রোপচারের ব্যয়, চিকিৎসকের পরামর্শ ফি, ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিল বাবদ দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য বছরে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় থাকবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ফি বাবদ প্রতি ব্যবস্থাপত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যবিমা চালুর প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছর ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের এককালীন বার্ষিক ২৭০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে।
চলমান শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় যেসব নিয়মিত শিক্ষার্থী বার্ষিক প্রিমিয়ামের টাকা দিতে পারেননি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে লগইন করে ‘হেলথ ইন্স্যুরেন্স’ বাটন ক্লিক করে টাকা জমা দিতে পারবেন।
টাকা জমা দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিমা প্রিমিয়ামের একটি জমা রশিদ পাবেন, যা সংরক্ষণ করতে হবে। বিমা সুবিধা দাবির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে এ রশিদ সংযুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের জীবনবিমা সম্পর্কে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘অনাকাক্সিক্ষতভাবে’ কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে এ বিমার আওতায় অভিভাবককে এক লাখ টাকা দেয়া হবে।
কোনো শিক্ষার্থীর বয়স ২৮ বছর অতিক্রম করলে অথবা ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেলে বিমা সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঢাবি ওয়েবসাইট থেকে বিমা-সংক্রান্ত সব শর্ত ও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অফিসে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে পারবেন।