নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা সদর হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপন প্রকল্পে অগ্রগতির প্রতিবেদন জমার আদেশ যথাযথভাবে না মানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ দুই কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আমিনুল হাসানকে ৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান। আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ।
দেশের সব জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনে প্রকল্পের অগ্রগতি জানাতে গত ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২৩ অক্টোবরের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও গত ৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিবেদন দাখিল করে।
জানতে চাইলে নুর উস সাদিক বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে সিসিইউ-আইসিইউ থাকা বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি ও পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। যথাসময়ে তারা আদালতে প্রতিবেদন দেয়নি। এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বারবার ফোন দেওয়ার পরও তারা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা) কো-অপারেট করেননি। কাজেই পিটিশনার যে তাদের পারসোনাল অ্যাপিয়ারেন্স চাচ্ছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, তারা আসুক। তাদের বক্তব্য তারা বলুক।’
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, ‘আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির বিবরণ ও প্রজেক্ট প্রোফাইল জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে আগে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন তারা। এর সঙ্গে আরেকটি দিয়েছে, যাতে তারা লিখেছে: ‘এ প্রকল্প স্থাপন মধ্য বা দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মধ্যে পড়ে। মানে, এক ধরনের ঔদ্ধত্য তারা দেখিয়েছেন। এজন্য হাইকোর্ট তলব করেছেন।’
প্রসঙ্গত, হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম গত বছরের জুলাইয়ে এ-সংক্রান্ত একটি রিট করেন।
