নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ও সরকারি ক্রয় খাতের উন্নয়নের জন্য ৫৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এজন্য গতকাল দুটি প্রকল্পে ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতের ৫১ কোটি পাঁচ লাখ ডলারের প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহে গতি আসবে। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অবস্থা জাতীয় গড় অবস্থার চেয়ে পিছিয়ে আছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ দুই বিভাগে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর আওতায় দুই বিভাগের এক লাখ ৪৬ হাজার মায়ের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। প্রায় ৫০ লাখ শিশুর টিকাদান কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত হবে এ প্রকল্পে।
দেশের জনমিতির পরিবর্তনের সংকটকালে এ প্রকল্পের মাধ্যমে নানা ধরনের নতুন স্বাস্থ্যঝুঁকির মোকাবিলা করা হবে। এর মাধ্যমে স্কুলগামী তরুণীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং এ খাতের বিভিন্ন সরকারি ক্রয়াদিতেও উন্নয়ন ঘটানো হবে। এর মাধ্যমে প্রায় সাত হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের তথ্যব্যবস্থা উন্নয়ন করা হবে।
অপর একটি প্রকল্পে সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে। এর আওতায় সরকারি ক্রয় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন তদারকির কার্যক্রমকে ডিজিটাইজ করা উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশের সরকারি ক্রয়াদির সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বার্ষিক ৭০০ কোটি ডলার সরকারি ক্রয় খাতে ব্যয় করে, যা বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রায় ৭০ শতাংশ। এর আগে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে চারটি প্রধান সরকারি ক্রয়ক্ষেত্রে উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন ইলেকট্রনিক ক্রয়ব্যবস্থা (ই-জিপি) প্রতিষ্ঠায় অর্থায়ন করেছিল। নতুন প্রকল্পটি ই-জিপি ব্যবস্থা ১৩০০ সরকারি ক্রয় সংস্থার উন্নয়নে কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য খাত ও সরকারি ক্রয়ব্যবস্থা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করছে। এ দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও সুস্বাস্থ্য অর্জনে আরও দক্ষতা অর্জন করবে বাংলাদেশ।