নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ছে তিন হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্যে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। এছাড়া মহামারি মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্যে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিগত বাজেটে কভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আমরা বিপুল বরাদ্দ রেখেছিলাম। এছাড়া যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম। তবে প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর বছর ঘুরে এলেও বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রকোপ এখনও বিদ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিগত বাজেটের মতো এবারও অঙ্গীকার করছি, এই মহামারি মোকাবিলায় যা করণীয় তার সবকিছুই সরকার করে যাবে। সে কারণে আগামী অর্থবছরেও কভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ফের ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।’
এর আগে দুপুরে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এরপর বিকাল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ শুরু করেন।
