ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ‘উদ্ভাবনী উপস্থাপনের’ জন্য জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি পেয়েছে জেডটিই বাংলাদেশ।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী পর্বে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে ‘সেরা উদ্ভাবনী প্যাভিলিয়নের’ পুরস্কার গ্রহণ করেন জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ।
চীনা প্রতিষ্ঠান জেডটিই বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়নের পাশাপাশি মোবাইল ফোন নির্মাতা হিসেবেও উদ্ভাবনের পরিচয় দিয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রযুক্তির বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রযুক্তির মহাসড়ক’।
মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদর্শনীর মাঝে পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্যবহারসহ পণ্য ও সেবার উপস্থাপনা নিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষণে ছিল জেডটিই বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন।
মেলায় ‘জেডটিই বুথ’ প্রাঙ্গণে ব্যবসায় সমাধান ও টার্মিনাল অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ‘সিস্টেম সলিউশন’ প্রদর্শনী এলাকায় ‘সহজীকরণের মাধ্যমে বড় কিছু’ তুলে ধরা হয় বলে জানিয়েছেন জেডটিই কর্মকর্তারা।
জেডটিইর প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, টেলিযোগাযোগ সচিব নূর-উর রহমান, জেডটিই করপোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেই ঝংগুয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ঝু ও জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভিনসেন্ট লিউ প্রমুখ।
ফাইভজি প্রদর্শনীর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের কাছে নেটওয়ার্ক অ্যাক্সিলারেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, চাহিদাভিত্তিক পরিবহন নেটওয়ার্ক, স্বয়ংক্রিয় চিপসেটের পাশাপাশি ‘কমন কোর’ সেবা তুলে ধরা হয়।
জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার মাধ্যমে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ এসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় প্রযুক্তি খাতে জেডটিইর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ফাইভজি ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্ভাবনা তুলে দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে শতাধিক অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিবহন, স্বাস্থ্য সেবা ও আবাসন খাতে ‘আধুনিক ও জ্বালানিসাশ্রয়ী’ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছে জেডটিই। পাশাপাশি, গণমাধ্যম ও গেমিং সেক্টরে ‘কনটেন্ট বিনিময়’ নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা প্যাং ওয়েই বলেন, পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তিতে ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শনীর পাশাপাশি ‘ক্লাউডভিত্তিক’ কৃত্রিম বাস্তবতা ও অন্যান্য সেবায় বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের শক্তি উপস্থাপন করা হয়। কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ১৯৯৮ সাল থেকে উদ্ভাবনী সেবা সমাধান নিয়ে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমের আওতায় ৩৫টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফাইভজি নিয়ে কাজ করছে জেডটিই। আন্তর্জাতিক বাজারে আধিপত্য বজায় রাখতে বার্ষিক মুনাফার ১০ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে বরাদ্দ রাখে প্রতিষ্ঠানটি।