স্মরণীয়-বরণীয়

বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিদের একজন পল্লীকবি জসীমউদ্দীন। তিনি ১৯০৩ সালের এ দিনে ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯২৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবনেই ‘কবর’ কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তার লেখা ‘কবর’ কবিতা প্রবেশিকা বাংলা সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়। তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে নকশীকাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, রঙ্গিলা নায়ের মাঝি, মাটির কান্না, সুচয়নী, পদ্মা নদীর দেশে, পদ্মাপার, বেদের মেয়ে, পল্লীবধূ, গ্রামের মায়া, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, ঠাকুর মা’র ঝুলি, ডালিম কুমার উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞান গবেষক আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন। তিনি আবদুল্লাহ আল-মুতী নামেই সমধিক পরিচিত। বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে আল-মুতী শরফুদ্দিনের অবদান অসামান্য। তিনি ১৯৩০ সালের এদিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে ১৯৬০ সালে এমএ ও ১৯৬২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক হিসেবে আল-মুতী তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি জনশিক্ষা, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, শিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। টানা চার বছর তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রকাশিত বিজ্ঞান, পরিবেশ ও শিক্ষাবিষয়ক বইয়ের সংখ্যা আটাইশ’। তিনি ১৯৯৮ সালের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।’

সূত্র: বাংলাপিডিয়া

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০