স্মরণীয়-বরণীয়

প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও সমাজসেবী সুখলতা রাও। আজ তার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। সুখলতা রাওয়ের জন্ম ১৮৮৬ সালে কলকাতায়। বাবা  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ভাই সুকুমার রায় ছিলেন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক এবং ভাতিজা সত্যজিৎ রায় ছিলেন অস্কারবিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা। ছোট বোন পুণ্যলতা চক্রবর্তীও সুসাহিত্যিক ছিলেন। সুখলতা কলকাতার ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয় এবং বেথুন কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯০৩ সালে তিনি বৃত্তি নিয়ে এফএ এবং পরে বিএ পাস করেন। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর সুখলতা কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯০৭ সালে উড়িষ্যার ডাক্তার জয়ন্ত রাওয়ের সঙ্গে বিবাহ হলে তিনি স্বামীর সঙ্গে কটক চলে যান। সেখানে স্বামীর সহযোগিতায় তিনি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন এবং কটকে ‘শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র’, ‘উড়িষ্যা নারী সেবা সংঘ’ প্রভৃতি সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে আলোক  নামে একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। ছবি আঁকায়ও পারদর্শী ছিলেন তিনি। তার রচিত গ্রন্থে নিজের আঁকা কিছু ছবি রয়েছে। ইংরেজি ও বাংলায় সুখলতা বিশটির মতো গ্রন্থ রচনা করেন। তার শিশুতোষ গ্রন্থগুলো বিপুল প্রশংসা লাভ করে। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: লালিভুলির দেশে, নিজে পড়, নিজে শেখ, গল্প আর গল্প, খোকা এলো বেড়িয়ে, নতুন পড়া, সোনার ময়ূর, নতুন ছড়া, বিদেশী ছড়া, নানান দেশের রূপকথা, পথের আলো, ঈশপের গল্প, হিতোপদেশের গল্প, New Steps, Living Lights ইত্যাদি। সুখলতা রাওয়ের ‘নিজে পড়’ গ্রন্থটি শিশুসাহিত্য সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত হয় এবং এর জন্য তিনি ‘লেখিকা’ পুরস্কার ও ভারত সরকারের ‘সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। এছাড়া তার আরও কয়েকটি গ্রন্থ পুরস্কৃত হয়। সমাজসেবায় অবদান রাখার জন্য তিনি স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ পদক লাভ করেন। চিত্রশিল্পী হিসেবেও তার খ্যাতি ছিল। ১৯৬৯ সালের ৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কাজী সালমা সুলতানা }8H�;�

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০