স্মরণীয়-বরণীয়

ছাত্রনেতা এবং রাজনীতিক আবদুল কুদ্দুস মাখনের আজ ৭৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের অধীনে তিনি মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আবদুল কুদ্দুস  মাখন ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে এমএ পাস করে আইন বিভাগে ভর্তি হন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ছাত্রনেতা হিসেবে ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার সদস্যের অন্যতম সদস্য ছিলেন আবদুল কুদ্দুস মাখন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ, তিনি নূরে আলম সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজসহ আরও ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকবাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরুর পূর্ব পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদই ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য তিনি চার খলিফাদের অন্যতম হিসেবে খ্যাত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার (চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে গঠিত) মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্রুটমেন্ট, ট্রেনিং ও অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৮ সালের ১২ নভেম্বর তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন । ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কাজী সালমা সুলতানা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০