Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:11 am

স্মরণীয়-বরণীয়

বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এর মতো অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি অমর হয়ে আছেন।

ঋত্বিক কুমার ঘটক ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকার জিন্দাবাজারের ঋষিকেশ দাস লেনে জš§গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের পর তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি রাজশাহীতে ফিরে আসেন। রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আইএ পাস করেন। ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের সময় তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়। সেখানে ১৯৪৮ সালে তিনি বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.এ ও ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এম. এ কোর্সে ভর্তি হন তিনি। ১৯৫১ সালে ঋত্বিক নিমাই ঘোষ পরিচালিত ‘ছিন্নমূল’ ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৫২ সালে ‘নাগরিক’ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য পুনেতে বসবাস করেন। এ সময় তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন ও পরবর্তীকালে ভাইস প্রিন্সিপাল হন। তিনি শিশুতোষ ‘হীরের প্রজাপতি’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের কাহিনিকার হিসেবে প্রশংসিত হন। ১৯৬৯ সালে ভারত সরকার ঋত্বিক ঘটককে পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে দেশে এসে ঋত্বিক ঘটক অদ্বৈত মল্লবর্মণের চিরায়ত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ অবলম্বনে অসাধারণ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘ফিয়ার’, ‘আমার লেনিন’, ‘দুর্বার গতি পদ্মা’ ও ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’। ঋত্বিক ঘটক বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যেÑ‘দ্য লাইফ অব দ্য আদিবাসিজ’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’, ‘ফিয়ার’, ‘রঁদেভু’, ‘আমার লেনিন’, ‘পুরুলিয়ার ছৌ’, ‘দুর্বার গতি পদ্মা’ উল্লেখযোগ্য। অনেক স্বল্প ও সিনেমা অসম্পূর্ণ রেখে ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি

এই চলচ্চিত্রকার মৃত্যুবরণ করেন।

কাজী সালমা সুলতানা