স্মরণীয়-বরণীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী শিক্ষাবিদ, আবদুল মতিন চৌধুরীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম উপাচার্য ছিলেন। 

আবদুল মতিন চৌধুরী ১৯২১ সালের ১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার নন্দনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নোয়াখালীর অরুণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯৩৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি এবং এমএসসি পাস করেন।

 ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের আগেই তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন। সংবাদ সংস্থা ‘ইউনাইটেড প্রেস অব ইন্ডিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। সেখানকার ব্যুরো চিফ ছিলেন তিনি।

১৯৪৯ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আবদুল মতিন চৌধুরী আবহাওয়াবিদ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৫০-এ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে রিডার নিযুক্ত হন।

 ১৯৫৬-তে সরকারি বৃত্তি নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্য গমন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢ-ৎধু ঈৎুংঃধষষড়মৎধঢ়যু বিষয়ে গবেষণা করেন। 

১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সাল থেকে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং পরে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

আবদুল মতিন চৌধুরী  ১৯৬৭-১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সদস্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের চিফ সায়েন্টিস্ট এবং ১৯৭০-১৯৭১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকিস্তানে আটক জীবনযাপন করেন। স্বাধীনতার পর পাকিস্তান থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উলকসন কলেজ থেকে ভিজিটিং ফেলোশিপ লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে বিভাগীয় প্রাক্তন অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন বোসের নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠার পর অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী প্রথম সম্মানসূচক ‘বোস অধ্যাপক’ পদ  লাভ করেন। তিনি  পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার নির্বাচনী কমিটির এশীয় অঞ্চলের সদস্য, নেহরু শান্তি পুরস্কার নির্বাচনী কমিটির সদস্যসহ অনেক সম্মানসূচক পদ অলঙ্কৃত করেন। এই কৃতী বিজ্ঞানী ১৯৮১ সালের ২৪ জুন মৃত্যুবরণ করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে তিনি ‘স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

কাজী সালমা সুলতানা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০