সুবিধাজনক যেকোনো স্থানে বসে স্মার্টফোনে কয়েকটি ক্লিক করে সহজে ভিডিও এডিট করতে পারবেন আপনিও। দেখে নিন এমন কয়েকটি অ্যাপ:
অ্যাডবি প্রিমিয়ার ক্লিপ: অ্যাডবি এডিটিং সফটওয়ারের নির্মাতারা এই ফ্রি অ্যাপটি তেরি করেছেন। এটা অ্যাডবি এডিটিং সফটওয়্যারের সঙ্গেও ব্যবহার করা যায়, আলাদাভাবেও ব্যবহার করা যায়। এতে
পছন্দানুযায়ী বা অটোমেটিক অপশন দিয়ে এডিট করা সম্ভব। অ্যাপটি আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।
সøাইস: এই সফটওয়্যারটি আইফোনে ব্যবহার করা যায়। এটি বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। এর ব্যবহারও তুলনামূলকভাবে সহজ। এডিটিং সফটওয়্যারের সব ধরনের সুবিধা এতে রয়েছে। ব্যবহারকারীরা এ অ্যাপটি দিয়ে ক্লিপ ট্রিম ও ক্রপ করতে পারে। এখানে যোগ করা যায় ইফেক্ট, টাইটেল, ট্রানজিশন,
মিউজিক প্রভৃতি।
কিনেমাস্টার: আইফোন ও আন্ড্রয়েডচালিত সব ফোনে ব্যবহার করা যায় এ এডিটিং সফটওয়্যারটি। এতে মাল্টিপল লেয়ার, অডিও কন্ট্রোল, থিম ও রং নিয়ন্ত্রণসহ অনেক এডিটিং ফিচার রয়েছে। বিনা পয়সায় ভিডিও এডিট করতে পারবেন। তবে পেশাদার কাজে ব্যবহার করার জন্য মাসে ৪ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ করতে হবে।
কুইক: গ্রো-প্রো’র তৈরি একটি অ্যাপ। এটি আন্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করা যায়। যেকোনো অবস্থানে থেকে দ্রুত এডিট করার জন্য একটি দারুণ অ্যাপ এটি। অবশ্য এতে ধরনের কাজ করার অপশন কম। বিনা খরচে এটি ব্যবহার করা যাবে।
ম্যাজিস্টো: অ্যাপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কাজ করে। তাই প্রয়োজন শুধু যেসব ক্লিপ ব্যবহার করতে চান সেগুলো আপলোড করুন। নতুনদের জন্য চমৎকার এ অ্যাপটি, কারণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি এডিট করে। আইফোন ও আন্ড্রয়েডে বিনা খরচে ব্যবহার করা যায়। আপগ্রেড ভার্সনের জন্য টাকা খরচ করতে হয়।
পাওয়ার ডিরেক্টর: আইমুভি সফটওয়্যারের মতো কাজ করে পাওয়ার ডিরেক্টর। এটা শুধু আন্ড্রয়েডে চলে। এতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ফিচার রয়েছে। এটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়।
আইমুভি: শুধু আইফোনে ব্যবহার করা যায়। মোবাইল ফোনে এডিটিং সফটওয়্যারের মধ্যে অন্যতম সেরা এটি। এর ব্যবহারও সহজ। এর বেসিক ভার্সনটি ফ্রি পাওয়া যায়।
লুমা ফিউশন: আইফোনে ব্যবহারের জন্য ১৯ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে লুমা ফিউশন। এতে ডেক্সটপে এডিটিংয়ের সব সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা মাল্টি ট্র্যাক এডিট করতে পারে। এতে যোগ করা যায় এনিমেশন, ইফেক্ট, টাইটেলসহ অনেক কিছু।
ইনশট: আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডে ব্যবহার করা যায়। একের ভেতরে অনেক ভিডিও এডিটিং কনটেন্ট রয়েছে ইনশটে। বেশ কয়েকটি ফিচার রয়েছে এতে। ট্রিম ও ফুটেজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি ফিল্টার, মিউজিক, টেক্সট প্রভৃতি যোগ করা যায়। তবে অ্যাপটির সঙ্গে যুক্ত অ্যাড রিমুভ করার জন্য ২ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ করতে হবে।
উইভিডিও: ক্লাউডবেজড ভিডিও সম্পাদনার জন্য চমৎকার একটি অ্যাপ এটি। এর প্রিমিয়াম ভার্সনটি বেশ কাজের। ফ্রি ভার্সন দিয়েও কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। তবে ফ্রি ভার্সনে জলছাপ থাকে।
পিকপ্লেপোস্ট: সহজে ব্যবহার করার উপযোগী একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে
ব্যবহার করা যায়। ভিডিও কোলাজ তৈরিতে এর জুড়ি মেলা ভার। চমৎকার ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য মাসিক কিছু টাকা খরচ করতে হবে।
অ্যাপলেও মাইক্রোসফট অফিস
অ্যাপল পণ্যে মাইক্রোসফট অফিস কাজ করে না। এ তথ্যটি সবারই জানা। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। এবার অ্যাপলের ম্যাক অ্যাপ স্টোরে মিলছে মাইক্রোসফট অফিসের ৩৬৫ সংস্করণটি।
ম্যাক স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি। এতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেল ব্যবহার করা যাবে।
অ্যাপলের জন্য বিশেষভাবে অফিস সংস্করণটি তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। এখানে ম্যাকের সব ফিচার যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
অ্যাপল মার্কেটিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিল স্কিলার বলেন, অ্যাপল ও মাইক্রোসফট একসঙ্গে অফিস সফটওয়্যারটির একটি ভালো অভিজ্ঞতা দিতে চায়। এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যই আমাদের এ প্রয়াস। মাইক্রোসফট অফিস ৩৬৫ এখন থেকে ম্যাক, আইপ্যাড ও আইফোন ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারবেন।