জিয়াউল ইসলাম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্বনির্ভরতা। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সম্পদ ও প্রযুক্তিবিদ্যার শরিকানা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা হ্রাস করিবে এবং আমাদের কর্মকাণ্ডকেও সহজতর করিবে, ইহাতে কোনো সন্দেহ নাই। নতুন বিশ্বে অভ্যুদয় ঘটিতেছে। আমাদের নিজেস্ব শক্তির ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখিতে হইবে।’ বিগত একযুগে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশও প্রযুক্তি খাতে বিস্তর সাফল্য অর্জন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নয়নের বদৌলতে বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উঠে এসেছি মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে।
বর্তমান বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। যে দেশ যত বেশি প্রযুক্তিতে উৎকর্ষ সাধন করেছে কিংবা করছে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় তারা তত বেশি এগিয়ে। প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে বদলাচ্ছে যুদ্ধের কৌশল। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশের নয়টি দেশ যথাক্রমে চীন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর। আর মাথাপিছু অবদানের হিসেবে শীর্ষ আইসিটি সেবা রপ্তানিকারী দেশ হলো আয়ারল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে লুক্সেমবার্গ, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ইসরায়েল, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বারমুডা, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের অবস্থান। আইসিটি খাতে অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিবেশ বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। গত দশকে বাংলাদেশের শিক্ষার হার পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়ন বিস্ময়’। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের এ গল্পই আজ আমরা জানব। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি এবং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নীত করেছেন এক বিস্ময়কর উচ্চতায়। ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ‘দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন’, ‘সুলভ মূল্যে সবার জন্য ইন্টারনেট কানেকটিভিটি নিশ্চিতকরণ’, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে সরকারি ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং ‘তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ’Ñমূলত এ চারটি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মূল ভিত্তি।
গত ১৪ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। মাত্র ১ মেগাবাইট ইন্টারনেটের দাম যেখানে ছিল ৭৮ হাজার টাকা, আজ সেটা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়। এ সুবিধা শুধু ঢাকা শহরের জন্যই নয়, ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট। সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সেবাটি যেন সুবিধামত সময়ে, জায়গায় এবং মাধ্যমে নিতে পারে সেজন্য দুই হাজারেরও বেশি সেবাকে ডিজিটাইজড করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার ফলে এ খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এবারের স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প অনুযায়ী স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থাÑএ চারটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ।
স্মার্ট নাগরিক: স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক হবেন বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানের মানসিকতাসম্পন্ন। নাগরিকদের দক্ষতা উন্নয়নে থাকবে ব্লেনডেড শিক্ষা এবং ডিজিটাল পাঠক্রম। স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ নাগরিকদের সব ধরনের সেবা গ্রহণের জন্য থাকবে সর্বজনীন আইডি। নাগরিকরা ই-পার্টিসিপেশনের মাধ্যমে সব ধরনের সেবা তৈরি এবং জাতীয় পর্যায়ে নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন।
স্মার্ট নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে নাগরিকদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা: ‘২০২৫ সালে ৫০ শতাংশ, ২০৩১ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ এর বেশি নিশ্চিত করা। নাগরিকদের জন্য স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার ২০২৫ সালে ৬০ শতাংশ, ২০৩১ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ শতভাগে উন্নীত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট পরিচয়পত্রের সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা। নাগরিকরা যাতে ই-পার্টিসিপেশনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সেবা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সে ব্যবস্থা গড়ে তোলা।”ওয়ান ফ্যামিলি ওয়ান সিড’ কার্যক্রমের আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পরিবারের অন্তত একজন সদস্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
স্মার্ট অর্থনীতি: স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অবশ্যই শতভাগ নিরাপদ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স/মেশিন লার্নিং, সাইবার নিরাপত্তা, রোবটিক্স, সেমি-কন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক বাহন ইত্যাদি বিষয়ে উদ্ভাবন ও গবেষণায় গড়ে তোলা হবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স। ২০৪১ সাল নাগাদ নাগরিকদের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার আর দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়।
স্মার্ট অর্থনীতির অবকাঠামো তৈরির লক্ষ্যমাত্রা: ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি এবং ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগে উন্নীত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে গড় মাথাপিছু আর ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের উন্নীত করা এবং দারিদ্র্যের হার শূন্যে নিয়ে আসা। ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ২০৩১ সালের মধ্যে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নির্ভর ঈবহঃৎব ড়ভ ঊীপবষ-ষবহপব গড়ে তোলা এবং ২০৪১ সালে ব্যবসা সহজ করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। ২০২৫ সালের মধ্যে ৫টি, ২০৩১ সালের মধ্যে ১৫টি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৫০টি স্টার্টআপ ইউনিকর্ন গড়ে তোলা। উচ্চগতি ও নির্ভরশীল ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি করা এবং ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগে উন্নীত করা।
স্মার্ট সরকার: স্মার্ট সরকার ব্যবস্থার মূল ধারণা হবে ‘যখন যেখানে দরকার, তখন সেখানে সরকার’। সরকারকে দেখা যাবে না কিন্তু সরকার তার সব ধরনের সেবা নিয়ে সব সময় নাগরিকের সঙ্গে থাকবে। স্মার্ট সরকার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হবে নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, কাগজবিহীন, উপাত্তনির্ভর, সমন্বিত এবং স্বয়ংক্রিয়। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি ব্যবস্থা, পরিবহনসহ জরুরি খাতগুলো হয়ে উঠবে পুরোপুরি স্মার্ট এবং অবশ্যই নাগরিকবান্ধব।
স্মার্ট সরকার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা: ২০২৫ সালের মধ্যে কাগজবিহীন, সহজ ও নাগরিকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণ, ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ সেবা কাগজবিহীন ও পারসোনালাইজ করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি পরিচালিত নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান করা। ২০২৫ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ স্ট্যাকের মাধ্যমে ৩০ শতাংশের বেশি, ২০৩১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ সেবা সহজলভ্য এবং আন্তঃচলমান করা। ২০২৫ সালের মধ্যে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য স্মার্ট ড্যাশবোর্ড তৈরি করা, ২০৩১ সালের মধ্যে আন্তঃচালিত ড্যাশবোর্ড এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের সব সিদ্ধান্ত উপাত্তনির্ভর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর করা। জাতিসংঘ ই-গভ ডেভেলপমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৫ সাল নাগাদ ১০০ এর মধ্যে, ২০৩১ সালে ৭০-এর মধ্যে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৫০-এর মধ্যে নিয়ে আসা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করে ২০৩১ সালের মধ্যে ১৭ শতাংশের বেশি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ২২ শতাংশের বেশি করা।
স্মার্ট সমাজ: স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ, জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর, সহনশীল এবং সহযোগিতামূলক। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে জাতি, ধর্ম, বয়স, পেশা, সামাজিক অবস্থা, শারীরিক সক্ষমতা নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধায় সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। ডিজিটালি দক্ষ এবং সংযুক্ত নাগরিকরা সম্মিলিতভাবে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। স্মার্ট সমাজব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা: ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এর বেশি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি পরিচালিত ব্যক্তিগত-চাহিদা অনুযায়ী (পারসোনালাইজড) সেবা প্রদান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০তম, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে উন্নীত করা। স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রামÑএই সূচকে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘ডিজিটালি নেটিভ’ হওয়া, ২০৩১ সালের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উপাত্ত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ২০২৫ সালের মধ্যে সবার জন্য ডিজিটাল অ্যাক্সেস সুবিধাসম্পন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা এবং ‘গ্লোবাল ইকুয়ালিটি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে সবার সহাবস্থান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সহনশীল ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সব সরকারি কর্মকাণ্ডে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি সমাজ গড়ে তোলা।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নানা ধরনের সরকারি সেবা খুব কম সময়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। দেশে প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা বর্তমানে পুরোপুরি দৃশ্যমান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তা, সংস্কৃতিসহ প্রতিটি মৌলিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব এনে দিয়েছে। গত এক দশকের ব্যবধানে প্রযুক্তির জাদুর স্পর্শ করেছে। শহরের পাশাপাশি আবহমান বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদকেও। দিন দিন প্রযুক্তির এতই উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে যে, মানুষও প্রাণভরে উপভোগ করছে এর সুফল। এককথায় প্রযুক্তি হয়ে উঠছে মানুষের ভার্চুয়াল বন্ধু।
দেশে প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা বর্তমানে পুরোপুরি দৃশ্যমান। অধিকাংশ সরকারি সেবা এখন হাতের মুঠোয়। স্মার্ট সমাজব্যবস্থায় এখন আর স্বপ্ন নয়। ২০৪১-এর উন্নত বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যশূন্য ও বৈষম্যহীন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
পিআইডি নিবন্ধ