শোবিজ ডেস্ক: অগ্নিপরীক্ষা, দেবদাস, হারানো সুর, দীপ জ্বেলে যাই, সপ্তবদী, সাত পাকে বাঁধা, উত্তর ফাল্গ––নী, গৃহদাহ, আঁধি, দেবী চৌধুরানী চলচ্চিত্রগুলো সুচিত্রা সেনের। সিনেমায় তার অভিনয়, হাসি ও চোখা চাউনিতে আজও দোলে বাঙালির হৃদয়। সিনেমার পাট চুকিয়ে ১৯৭৮ সাল থেকে অন্তরালে থাকেন, তাকে নিয়ে জীবিতকালে কৌতূহল তখন বেড়েছে কেবল।
সিনেমা ও সিনেমার বাইরে সমান জনপ্রিয় ছিলেন সুচিত্রা সেন। জš§ ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল,
পাবনায়। তার নাম রাখা হয় রমা দাশগুপ্ত। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন শিক্ষক। তিনি বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান ছিলেন। পাবনায় পড়ালেখা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ১৯৫২ সালে সিনেমায় আসেন। নাম দেওয়া হয় সুচিত্রা সেন। ‘শেষ কোথায়’ দিয়ে শুরু করেন বাংলা সিনেমাযাত্রা। অবশ্য সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে নজর কাড়েন সবার। তারা বনে যান বাংলা সিনেমার সেরা জুটি।
মোট ৫৯টি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। ‘আঁধি’, ‘মুসাফির’, ‘মমতা’, ‘বোম্বাইকা বাবু’ প্রভৃতি হিন্দি সিনেমায়ও দেখা যায় তাকে।
পুরস্কারে পূর্ণ ছিল তার জীবন। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন কয়েকবার। ১৯৭২ সালে পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’। ২০০৫ সালে তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে অন্তরাল ভেঙে পুরস্কার নিতে রাজি হননি। ফলে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্তরাল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি হননি কোনো উপলক্ষেই। সেই অন্তরাল থেকেই চির অন্তরালের পথে পাড়ি জমান ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি।
Add Comment