সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) হচ্ছে না প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। এর বদলে বিদ্যমান মহাসড়ককেই আরও প্রশস্ত করা হবে।
রোববার দুপুরে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই ভার্চুয়াল বৈঠক।
বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপিভিত্তিক নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে এটা আর পিপিপিতে হবে না।
ঐ প্রকল্পের পেছনে ইতোমধ্যেই ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে, তারপর এটি বাতিল হলো কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি। যে কোনো কাজের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশেই এটা হচ্ছে। সেজন্য সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চের সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করে বিদ্যমান চার লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি প্রত্যাহার হয়েছে পিপিপি ভিত্তিতে হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) চারলেনে উন্নতকরণের প্রস্তাবটি।