শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছর ১০ লাখ ধর্মপ্রাণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী পবিত্র হজে অংশ নিতে পারবেন। তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ, অর্থাৎ আট লাখ ৫০ হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। বাকিরা অংশ নেবেন সৌদি আরব থেকে। গতকাল কোন দেশের কত সংখ্যক মুসল্লি হজে অংশ নিতে পারবেন, সে কোটা ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। খবর: সৌদি গেজেট।
প্রসঙ্গত, কভিড মহামারি শুরুর আগের বছরগুলোয় প্রতিবছর হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেত।
মন্ত্রণালয় জানায়, ঘোষিত কোটা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন এবারের হজে। ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এক লাখ ৫১ মুসল্লি এবার হজে অংশ নেবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুসল্লি অংশ নেবেন পাকিস্তান থেকেÑদেশটি থেকে ৮১ হাজার ১৩২ জন এবার হজ করতে পারবেন। তৃতীয় অবস্থানে ভারতের ৭৯ হাজার ২৩৭ জন। চতুর্থ অবস্থানে বাংলাদেশ। আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসর থেকে ৩৫ হাজার ৩৭৫ জন হজ করার সুযোগ পাবেন। এবারের হজে সবচেয়ে কম ২৩ মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন আফ্রিকা মহাদেশের অ্যাঙ্গোলা থেকে। এ মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি ৪৩ হাজার আটজন এবার হজ করতে পারবেন। এ ছাড়া ইরানের ৩৮ হাজার ৪৮১ এবং তুরস্ক থেকে ৩৭ হাজার ৭৭০ জন হজের সুযোগ পাবেন।
কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দুই বছর পর এবার একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক মুসল্লিকে হজ পালনের অনুমতি দিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ বছর পবিত্র হজে অংশ নেয়ার জন্য শর্ত দেয়া হয়েছে। প্রথমত, হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, করোনার দুই ডোজ টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। হজ পালনের সময়ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে দেশটি।