নিজস্ব প্রতিবেদক: হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় ও নির্বাহী কমিটি গঠন করেছে সরকার। দুই কমিটি গঠন করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কমিটির সভাপতি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান এ কমিটির সদস্য সচিব।
২৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেনÑবেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব প্রমুখ।
কমিটির কার্যবিধিতে বলা হয় সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া।
এতে আরও বলা হয়, কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সময় সভা আহŸান করতে পারবে। সভাপতি কমিটির সব সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে প্রয়োজনে তার থেকে মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহযোগিতা দেবে।
অন্যদিকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে এ কমিটির সভাপতি এবং মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বাকি সদস্যরা হলেনÑস্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রমুখ।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া, হজ প্যাকেজ অনুমোদন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া, জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, বিধি নির্ধারিত অন্য কোনো কাজ।
এতে আরও বলা হয়, কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সময় সভা আহŸান করতে পারবে, সভাপতি কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে প্রয়োজনে তার মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১৯ সালের ২৭ মার্চের দুটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো বলেও এতে জানানো হয়।